এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় বিরোধীয় জমিতে গরুর ঘাস কাটতে বাধা দেওয়ায় জমির মালিককে পিটিয়ে, গলা ও অন্ডকোষ চেপে নির্মমভাবে খুন করেছে প্রতিপক্ষ দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে উপজেলার উত্তর জলদী রুদ্র পাড়ায়।
১৭ জুন’২২ ইং শুক্রবার সকাল ১১টার সময় স্থানিয় কৃষক মোহাম্মদ ইউসুপ, তার স্ত্রী এবং ছেলে আশেক(১৮) এই ৩ জন মিলে পাশের বাড়ির প্রতিপক্ষ মৃত জগৎ মোহন রুদ্রের ছেলে কৃষ্ণমোহন রুদ্র (৬৭) কে নির্মমভাবে হত্য করে। নিহত কৃষ্ণ মোহন রুদ্রের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বাঁশখালী থানা পুলিশ কৃষ্ণমোহন রুদ্রের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে এবং খুনের অভিযোগে মো. ইউসুফকে আটক করেছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১১টায় কৃষ্ণমোহন রুদ্রের বাড়ির পাশের জমিতে গরুর ঘাস কাটতে আসে পাশের বাড়ির মো. ইউসুফের ছেলে মো. আশেক (১৮)। এই জমি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধীয় জমিতে ঘাস কাটতে কৃষ্ণ মোহন রুদ্র নিষেধ করলে আশেক কৃষ্ণমোহন রুদ্রের সাথে প্রথমে বাক বিতন্ডায় লিপ্ত হয়, এবং একপর্যায়ে মারমুখি হয়ে শোর-চিৎকার শুরু করলে লাটি হাতে তেড়ে আসে মো. আশেকের বাবা মো. ইউসুফ ও তার মা। ঘটনাস্থলে রূদ্রমোহনকে একা পেয়ে ইউসুপ, তার স্ত্রী ও ছেলে মিলে প্রথমে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, গলাচিপে এবং অন্ডকোষ চেপে কৃষ্ণমোহনকে খুন করে পালিয়ে যায়। এ অবস্থা দেখে প্রতিবেশিরা কৃষ্ণমোহনকে উদ্ধার করে দ্রুত বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেছে।
কৃষ্ণমোহনের ছেলে অ
পঞ্জন রুদ্র বলেন, ঘাস কাটতে বাধা দেয়ায় আমার বাবাকে পিটিয়ে, গলাচিপে ও অন্ডকোষ চিপে মো. আশেক, তার বাবা মো. ইউসুফ ও তার মা খুন করেছে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, নিহত কৃষ্ণমোহন রুদ্রের পরিবারের সাথে মো. ইউসুফের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-জমির বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধীয় জমিতে ঘাস কাটা নিয়ে বাধা দেয়ায় কৃষ্ণমোহন খুন হয়েছে বলে দাবি করছে নিহতের পরিবার। ওই অভিযোগে মো. ইউসুফকে আটক করা হয়েছে। এবং মামলার প্রস্তুতি চলেছে বলে জানিয়েছে বাঁশখালী থানার ওসি কামাল উদ্দিন।