শনিবার (১৮ জুন) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রৌকশলী (১) ফজলুল করীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সুনামগঞ্জে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুর ২টার পর সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, “এই মুহূর্তে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি কুমারগাঁও বিদ্যুৎ স্টেশনকে। আর ৫-৬ ইঞ্চি পানি বাড়লে এই কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন না হলে গোটা সিলেট বিভাগের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। এমনটি হলে কার্যত সিলেট বন্যার ক্ষতির পাশাপাশি বড় ধরনের সংকটে পড়বে।”
মেয়র আরও বলেন, “গত রাত থেকে এই সংকট মোকাবিলায় আমি প্রশাসনের সব বিভাগ ও শাখার সহযোগিতা চেয়েছি। সিটি করপোরেশনের, জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিদ্যুৎ অফিসের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্যার কবল থেকে বাঁচাতে কাজ শুরু করেছে। এখানে আমার সঙ্গে সিলেটের জেলা প্রশাসক, সেনা কর্মকর্তাসহ সব দপ্তর ও সংস্থার কর্তারা আছেন। আমরা বালুভর্তি জিও ব্যাগ ও মাটি দিয়ে সুরমা নদীর পানি যাতে কেন্দ্রে না ঢুকতে পারে, তার জন্য অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ শুরু করেছি।”
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, “বাঁধ নির্মাণ হলেই সিসিকের সাকার মেশিন দিয়ে কুমারগাঁও স্টেশনের ভেতরের পানি নিষ্কাশনের কাজ শুরু করব। আশা করছি সকলে সহযোগিতায় সিলেটের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পারলে বড় ধরনের সংকট থেকে রক্ষা পাব।”