ডেস্ক নিউজ:চট্টগ্রামে পবিত্র রমজান মাসে শপিংমল ও দোকানপাট নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা রাখার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি,চট্টগ্রাম।
রবিবার(৪এপ্রিল) সংগঠনের নেতারা চসিক মেয়র, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, হঠাৎ লকডাউনের ঘোষণায় চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সমাজ হতাশ ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। গত বছরে লকডাউনের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি ব্যবসায়ীরা এখনো পর্যন্ত পুষিয়ে উঠতে পারেনি। ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসায়ীরা কোনো ধরনের আর্থিক প্রণোদনা পায়নি। ব্যাংক ঋণ ও দোকানের পাওনা মেটাতে তাদের অবস্থা শোচনীয়। এছাড়া ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট, আয়করসহ যাবতীয় সরকারি রাজস্ব সমূহ ব্যবসায়ীরা সময়মত পরিশোধ করে আসছে। এ বছর সে ক্ষতি পুষিয়ে উঠার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন মার্কেটের প্রতিনিধি ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের একটাই দাবি, লকডাউন নয়, কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করে জীবন ও জীবিকা দুটোই বাঁচানো সম্ভব। যেহেতু শিল্প-কারখানা, গার্মেন্টসসহ বৃহৎ আরো প্রতিষ্ঠান লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা হয়েছে, সেহেতু এই পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের সীমিত পর্যায়ে হলেও দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে মতবিনিময় সভা সকালে নগরীর স্টেশনে একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির জেলা সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ খুরশিদ আলম ও মেট্রোপলিটন ২য় পৃষ্ঠার ৭ম কলাম
শপ ওনার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মনসুর আলম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক ওহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, দোকান মালিক সমিতির কার্যকরি সভাপতি আবদুল খালেক, তামাকুমন্ডি লেইন বণিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আবু তালেব, সাধারণ সম্পাদক আহমেদ কবির দুলাল, বিপণী বিতান মার্চেন্ট ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সাগির, মিমি সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. জাকির হোসেন, সানমার ওসান সিটি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আসাদ ইফতেখার, রিয়াজউদ্দিন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাশেম, মতি টাওয়ার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন, জুয়েলার্স এসিয়েশেন চট্টগ্রাম জেলা শাখার সহ-সভাপতি প্রণব সাহা প্রমুখ।