চতুর্থ টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬০ রানে হেরেছে ভারত। এর ফলে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি এক ম্যাচে হাতে রেখেই ৩-১ ব্যবধানে জিতে নিল ইংল্যান্ড।
পেন্ডুলামের মতো দুলছিল ম্যাচটির ভাগ্য। শুরুতে জেমস এন্ডারসনের আগুনে বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের দিকে ঝুঁকে পড়া। মাঝে কোহলি-রাহানের ব্যাটিং বীরত্বে ভারতের দিকে হেলে পড়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতে নিল ইংল্যান্ড। আর এতেই এক ম্যাচ হাতে রেখে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি ৩-১ ব্যবধানে জিতে নিল স্বাগতিকেরা।
সাউদাম্পটন টেস্টের চতুর্থ দিন ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭১ রানে গুটিয়ে দিলে ২৪৫ রানের লক্ষ্য পায় ভারত। কিন্তু জেমস এন্ডারসনের আগুনে বোলিং ও মঈন আলির স্পিন বিষে ১৮৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় তারা।
সাউদাম্পটন টেস্ট জেতার জন্য ভারতের একজন ব্যাটসম্যানকে গড়ে প্রায় ২২ রান করে করতে হতো। অথচ দলের ২২ রানের মধ্যেই ফিরে গেলেন ভারতের প্রথম তিন ব্যাটসম্যান, যাঁদের মধ্যে আছেন প্রথম ইনিংসে অসাধারণ সেঞ্চুরি করা চেতেশ্বর পূজারাও।
অধিনায়ক বিরাট কোহলি দাঁড়িয়ে গেলেন ক্রিজে। সঙ্গে অজিঙ্কা রাহানেকে নিয়ে আস্তে আস্তে কমিয়ে আনছিলেন জয়ের সঙ্গে দূরত্বটা। সেই পথ চলাতে প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে দেশের বাইরে এক সিরিজে ৫০০ রানের মাইলফলকও পেরিয়ে গেলেন। পেয়ে গেলেন সিরিজে নিজের পঞ্চম পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসও।
কিন্তু ফিফটির একটু পরই ছন্দপতন। মঈন আলীর লাফিয়ে ওঠা বলটা কোহলির গ্লাভসে লেগে চলে গেল শর্ট লেগে দাঁড়ানো অ্যালিস্টার কুকের হাতে। সাজঘরে ফেরার আগে ১৩০ বলে ৫৮ রান এসেছে ভারতীয় অধিনায়কের ব্যাট থেকে। বুক চিতিয়ে লড়াই করে অধিনায়কের রেখে আসা বাকি পথটা পাড়ি দিতে পারেননি পান্ডিয়ারা।
কোহলি-রাহানের চতুর্থ উইকেট জুটিটা ভাঙল ১০১ রানে। ১২৩ রানে কোহলির উইকেট হারিয়েছিল ভারত, পরের ৫১ রানের মধ্যে বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে বসল ভারত। এদের মধ্যে হার্দিক পান্ডিয়া, ইশান্ত শর্মা ও জশপ্রীত বুমরা তিনজনই শূন্য রান করেছেন। মূলত ইন্ডিয়ান ব্যাটিং লাইনআপটা ৪ উইকেট নিয়ে শেষ দিকে ধসিয়ে দিয়েছেন স্পিনার মঈন আলি।