সাতকানিয়ায় রাজনৈতিক বিরোধের জেরে যুবলীগ নেতা ও তার পরিবারকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ উটেছে।

Date:

Share post:

সাতকানিয়ায় রাজনৈতিক বিরোধের জেরে যুবলীগ নেতা ও তার পরিবারকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ উটেছে। হয়রানির স্বীকার যুবলীগ নেতার ভাই এর প্রতিকার চেয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে,আমিলাইলাইশ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত মুন্সি মিয়ার পুত্র আবু তৈয়বকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ এনে তার নিকটাত্মীয় খাগরিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মুন্সিপাড়ার মোহাম্মদ ইব্রাহিমের পুত্র মো বেলাল(৩০)বাদী হয়ে গত ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
এরপর মেজিষ্ট্রেট তা এজাহার হিসেবে গন্য করে ব্যবস্থা নিতে সাতকানিয়ার ওসিকে নির্দেশ দিলে তিনি মামলাটি এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করেন।

এতে গত ১৬ অক্টোবর খাগরিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে বাদির নিজ বাড়ীর উঠানকে ঘটনাস্থল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।এছাড়া দক্ষিন জেলা যুবলীগ সদস্য হাসান মাহমুদ,তার ছোট ভাই দক্ষিন জেলা ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ ফোরকান,খাগরিয়ার ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আবু বক্কর,সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ মহসিনসহ মোট আট জনকে আসামি করা হয়।
গত ১ নভেম্বর জেলা পুলিশ সুপারেরকাছে দেওয়া আবেদনে মোহাম্মদ ফোরকান গত ১৬ অক্টোবর এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি এবং বাদির সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধের কারনে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে,খাগরিয়ায় এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি।মামলায় বাদি বেলালের সঙ্গে উল্লেখিত আসামীদের রাজনৈতিক বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন ধরে।এ কারনে বেলালের নিকটাত্মীয় তৈয়বকে আহত করা হয়েছে উল্লেখ করে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।

খাগরিয়ার চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বলেন,মামলার উল্লেখিত তারিখ ও সময়ে খাগরিয়ায় কাউকে মারধর বা কুপিয়ে আহত করার কোন ঘটনা ঘটেনি।এতে উল্লেখিত ঘটনাস্থল আমার বাড়ির কাছে।তাই এ ধরনের ঘটনা হলে আমি অবশ্যয় জানতাম।

আবু তৈয়ব আহত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আমিলাইশ ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ নাছির জানান,১৬ অক্টোবর বিকালে আবু তৈয়বের সাথে তার বড় ভাই আবু ছালেকের স্ত্রীর ঝগড়া হয়।সেখানেই সে পায়ে আঘাত পান বলে আমি জানি।তাকে খাগরিয়ায় মারধর করার ঘটনা সঠিক নই।

আমিলাইশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ বলেন,খাগরিয়ার বাদিন্দা বেলালের মামলায় উল্লেখিত আসামিরা সম্প্রতি আমার সাথে যোগাযোগ করলে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি।আবু তৈয়বের সাথে কথা বলে জানতে পারি, সে তার বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে আয়না ভেঙ্গে পায়ে আঘাত পান।সে কারো বিরুদ্ধে মামলা করেনি বলেও দাবী করেন।

হয়রানির স্বীকার মোহাম্মদ ফোরকান বলেন,যেদিন ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে,সেই দিন আমি ছিলাম ঢাকায়।আর জেনেছি ওইদিন মামলার বাদি ছিল চট্টগ্রামস্থ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।অথচ মিথ্যা মামলায় আমাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে।এ ব্যাপারে দোষি ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে মোহাম্মদ বেলালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিরোধের কথা স্বীকার করে বলেন,আবু তৈয়ব আমার ফুফাতো ভাই।তাকে আহত করার কারনে মামলা করেছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

আবারো এস আলমে আগুন 

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকায় এস আলম গ্রুপের চিনির গুদামের পর এবার তেলের মিলে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের...

জিম্মি নাবিকদের উদ্ধার চেষ্টার সময় গুলি বিনিময়

সময় ডেস্ক সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে অন্য একটি জাহাজ। দুই...

শেষ ম্যাচে ভুটানকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ

সময় স্পোর্টস ডেস্ক সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিলো বাংলাদেশের মেয়েরা। ১০ মার্চ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে মাঠে...

নারী দিবসে নারী কর্মীদের সম্মান জানিয়ে এবারই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করছেন নারী কর্মীরা

সময় ডেস্ক আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছেন নারীরা। রাজধানীর শাহজালাল...