ডেস্ক নিউজ: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে টানা ছয়দিন দেশে একদিনে করোনায় মৃত্যু দুইশর উপরেই থাকল।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ২৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক দিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তালিকায় এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ। গত ২৭ জুলাই মঙ্গলবার দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছিলো।
তাছাড়া গতকাল বুধবার ২৩৭, গত সোমবার ২৪৭, রবিবার ২২৮, শনিবার ১৯৫ ও শুক্রবার ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়। গত ২৪ ঘণ্টার মৃত্যু নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০ হাজার ৪৬৭।
একই সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৮৬২ জনের শরীরে। যা বৃহস্পতিবারে চেয়ে এক হাজার ৪০৯ জন কম। গতকাল শনাক্ত হয়েছিল ১৫ হাজার ২৭১ জন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৪ ঘণ্টার করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৫ হাজার ৪০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এখন পর্যন্ত যত মানুষ পরীক্ষা করিয়েছেন, তাদের ১৬ দশমিক ০৮ শতাংশের মধ্যে ভাইরাসটির অস্তিত্ব ধরা পড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনামুক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৯৭৫ জন। এ পর্যন্ত দেশে সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। একদিনে ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এ বিভাগে। তাছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছেন ৫৩ জন, খুলনা বিভাগে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। তাছাড়া সিলেট বিভাগে ১৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১১ জন, রংপুর বিভাগে ৯ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৮ জন মারা গেছেন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১১৯ জন ও মহিলা ৯৩ জন। যাদের মধ্যে বাসায় ৯ জন ছাড়া বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, মারা যাওয়া ২১২ জনের মধ্যে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৬৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছে।