ভেবেছিলাম মামুনুল হক প্রেমিকা নিয়ে প্রমোদ বিহারে গেছে, যেতেই পারে, প্রেম সেক্স করা কোনও অন্যায় নয়। আসলে লোকটি প্রেম নয়, দুটি মহিলার সঙ্গে প্রতারণা করছে। কিছু ফোনালাপে প্রমাণ পাওয়া গেল যে সে তার স্ত্রী আসমাকে ধোঁকা দিচ্ছে এবং ঝর্ণার অসহায়তার সুযোগে ঝর্ণাকে , যাকে সে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে পরিচয় দিয়েছে, আসলে যে তার দ্বিতীয় স্ত্রী নয়, নেহাত যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করছে। এত ভয়ংকর নারী বিদ্বেষী লোক নারীর সঙ্গে প্রেম করে না, নারীকে নিজের বীর্য ফেলার ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করে। দুই রমণীই কিন্তু তাকে আপনি সম্বোধন করে। দু’জনই তাকে প্রভু মানে।
হেফাজতি নেতাদের মধ্যে ফোনালাপ,স্ত্রীর সঙ্গে মামুনুলের ফোনালাপ,ঝর্ণার সঙ্গে মামুনুলের ফোনালাপ, মামুনুলের বোনের সংগে মামুনুলের স্ত্রীর ফোনালাপ, ঝর্ণার সঙ্গে তার পুত্রের ফোনালাপ। এই ফোনালাপগুলো শুনলেই প্রতারক মামুনুলের চরিত্র উন্মোচিত হয়। মাত্র দুটি প্রতারণার গল্প বেরোলো। এরকম কত গল্প আছে, কে জানে।
নারী নির্যাতন, নারী হেনস্থা, নারীর সঙ্গে প্রতারণা বাংলাদেশের অধিকাংশ পুরুষই করে। মামুনুল যেহেতু নেতা, যেহেতু তার আদেশে লক্ষ পঙ্গপাল চারদিক ছাই করে দেয়, নিজে শুধু খুন করতে নেমে পড়ে না, নিজে খুন হতেও নেমে পড়ে,সেহেতু মামুনুলের আগপাশতলা দেখা জরুরি। পঙ্গপালগুলোর জানা জরুরি কোন নিকৃষ্ট লোকের আদেশ তারা মেনে চলে।
তসলিমা নাসরিনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে
এই লেখার সমস্ত দায়ভার একমাত্র লেখকের।