সদ্যই শেষ হয়েছে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিল। সম্মেলনে আগামী তিন বছরের জন্য নতৃন নেতৃত্ব বেছে নিয়েছেন কাউন্সিলররা। নবম বারের মতো দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবং দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
নানা জল্পনা-কল্পনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ঘোষিত নতুন কমিটিতে তেমন কোন চমক নেই। তবে এবারের সম্মেলনে আওয়ামী লীগ যে সরকার ও দল আলাদা করতে চায় তার প্রতিফলন পাওয়া গেছে। ৬ মন্ত্রীকে দলের কোন পদে রাখা হয়নি। বাকি যে মন্ত্রীরা দলে পদ পেয়েছেন তাদেরও অচিরেই মন্ত্রীত্ব ছাড়তে হতে পারে বলে আভাস মিলেছে।
আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন কমিটির প্রধান অ্যাডভোকেট ইউসূফ হোসেন হুমায়ূনের বক্তব্যে তেমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
তাঁর বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে, আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক কমিটিতে বিভিন্ন সম্পাদক পদে ছিলেন এমন ৬ জন নেতা মন্ত্রিসভায় থাকায় তাঁদের এবারের নতুন কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়নি। তাঁরা হলেন- বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, গণপূর্ত মন্ত্রী স. ম রেজাউল করিম, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
তবে এখনও দলের নতুন কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও আরও তিনজন মন্ত্রী আছেন। তাঁরা হলেন- সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার কথায় আভাস মিলেছে, সরকার ও দলকে আলাদা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া বাকি সবাইকে মন্ত্রীত্ব ছাড়তে হবে। মন্ত্রীদের দলের কেন্দ্রীয় কোন পদে রাখা হবে না।
এদিকে কাউন্সিলের পরদিনই দ্বিতীয় বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়া ওবায়দুল কাদের জানালেন মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল আসছে। তাঁর এই বক্তব্য থেকে ধারণা করা যায় দল ও সরকার আলাদা করার প্রক্রিয়ায় মন্ত্রীত্ব ছাড়তে হতে পারে দলে শীর্ষ এই নেতাদের। ওবায়দুল কাদের মন্ত্রিসভায় রদবদলের খবর নিশ্চিত করার পর এখন চারদিকে উৎসুক দৃষ্টি কী পরিবর্তন আসছে? কারা বাদ পড়ছেন মন্ত্রিসভা থেকে? কারা ঢুকছেন নতুন মন্ত্রিসভায়।