অনেক কিছু বলার থাকলেও গণতন্ত্রের স্বার্থে অনেক কিছু হজম করে এগিয়ে যাচ্ছি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Date:

Share post:

অনেক কিছু বলার াকলেও গণতন্ত্রের স্বার্থে অনেক কিছু হজম করে এগিয়ে যাচ্ছি বলে মন্তব্য করেছেন া। জিয়া, এরশাদের ক্ষমতাদখল হাইকোর্ট ধ ঘোষণা করায় তাদেরকে আর সাক রাষ্ট্রপতি বলা যায় না বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

রবিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সদ্যপ্রয়াত বিরোধী দলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ত্ব করেন।

শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দোষে-গুণে মানুষ। আমাদের বলার অনেক কিছুই আছে। কারণ আমরাই সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। আমাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো, ছেলেমেয়েরা জানতে পারেনি আমি কোথায়। তারপরও দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, জনগণের উন্নয়নের স্বার্থে অনেক কিছু হজম করে এগিয়ে যাচ্ছি।

‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বিরোধীদলের নেতা ছিলেন, আমি তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি’। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়া যেভাবে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন, এরশাদও একইভাবে ক্ষমতা দখল করেন। হাইকোর্ট তাদের এই ক্ষমতা দখে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। এরপর তাদেরকে আর সাবেক রাষ্ট্রপতি বলা যায় না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৮২ সালে এরশাদ যে ক্ষমতা দখল করেছিলেন সেই ক্ষমতা দখলের সুযোগটা কিন্তু খালেদা জিয়াই করে দিয়েছিলেন। একারণে জিয়াউর ের মৃত্যুর পর খালেদা জিয়াকে শুধু দুটি বাড়িই নয়, ১০ লাখ টাকাসহ অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েছিলেন জেনারেল এরশাদ। যে কারণে জিয়া হত্যার ব্যাপারে যে মামলা হয়েছিল চট্টগ্রামে, সে মামলা কিন্তু বিএনপি কখনো করেনি। বহু বছর পর ১৯৯৪ সালের দিকে এক সময়ে জেনারেল এরশাদকে তার স্বামী হত্যার জন্য দায়ী করেছেন খালেদা জিয়া। এগুলো ইতিহাসের একটা অংশ ক্ষমতাটাকে তুলে দেওয়া বা সুযোগ করে দেওয়া। তবে এর বিরুদ্ধে আমরাই প্রতিবাদ করেছি। কারণ আমরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৫ দল প্রতিবাদ করেছিলাম, এজন্য আমরা চেয়েছিলাম গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক প্রিয়া। অর্থাৎ এক সামরিক শাসকের ক্ষমতা থেকে আরেক সামরিক শাসকের ক্ষমতা আসুক এটা কখনো আমাদের জন্য কাম্য ছিল না।

তিনি আরো বলেন, আমি রে আসার পর ৩২ নম্বর বাড়িটিতে জেনারেল জিয়া আমাকে ঢুকতেই দেননি। এটাও বাস্তবতা। প্রথমে মার্শাল ল’ জারি করে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করেন। এরপর নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে ক্ষমতা দখল করে নেন। এই ক্ষমতা দখল প্রথমে জিয়াউর রহমান করেন। জাতির পিতাকে হত্যার পর ক্ষমতা দখল করে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। এরপর জেনারেল এরশাদও নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন।

উচ্চআদালত এই ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। অবৈধ যখন ঘোষণা করেছেন তখন এই দুইজনের কেউ আর রাষ্ট্রপতি হিসেবে কিন্তু থাকেন না। তাদের রাষ্ট্রপতি হিসেবে উল্লেখ করাও হাইকোর্টের রায়ে বৈধ নয় বরং সেটা করা যায় না। কারণ একটা রায়ের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের ধারাটা অব্যাহত রাখার সুযোগ হয়েছে।

‘জেনারেল এরশাদ অমায়িক ছিলেন, মানুষের প্রতি দরদ ছিল। স্বাধীনতার পরপর সাভার স্মৃতিসৌধে জাতির পিতা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এই স্মৃতিসৌধের অসমাপ্ত কাজ করেছেন এরশাদ। জিয়াউর রহমান নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করলেও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিরক্ষার জন্য তিনি কিছুই করেননি’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

নুসরাত ফারিয়ার গ্রেফতার নিয়ে যা বললেন হাসনাত আবদুল্লাহ

জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে...

ঢাকাসহ ১৩ জেলায় বিকেলের মধ্যে বৃষ্টি-বজ্রপাতের শঙ্কা

ঢাকাসহ দেশের ১৩ জেলার কিছু জায়গায় সোমবার (১৯ মে) বিকেলের মধ্যে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়...

ভেঙে যাচ্ছে ট্রাম্প-নেতানিয়াহুর বন্ধন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার দূরত্ব ক্রমেই বাড়ছে। প্রথমদিকে ট্রাম্প ইসরায়েলকে...

বেনাপোলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ সম্পাদক জামিল গ্রেফতার

ভারতে পালানোর সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ সম্পাদক জামিল আহম্মেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার নামে বিস্ফোরক...