আসেম সম্মেলন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কী করতে পারে?

Date:

Share post:

চীন ও রাশিয়ার সমর্থন না পেলে রোহিঙ্াদের ফেরত পাঠানো অসম্ভব বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা

মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডো তে আজ থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়া-ইউরোপ মিটিং বা আসেম সম্মেলন। দু’দিনের এই আন্তর্ক সম্মেলনে এশিয়ার শক্তিধর দুটো দেশ ও ভারত এবং ইইউ এর পরমন্ত্রীরা অংশ নিচ্ছেন।

সম্মেলনে যাওয়ার আগে চীন, জাপান ও ইইউর পর্রমন্ত্রীরা শ সফরে এসে কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে গেছেন।

এই পরিস্থিতিতে আসেম সম্মেলনে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানের ব্যাপারে কতোটা অগ্রগতি হতে পারে?

ঢাকা বিশ্ব্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক সৈয়দা রোজানা রশীদ, বলছেন সংকট সমাধানের জন্য এটা একটা শুরু হতে পারে।

কারণ, এশিয়া এবং ইউরোপের দেশগুলো সবাই দেখে গেছে পরিস্থিতি, ে রোহিঙ্গা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।

অর্থাৎ সম্মেলনে এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা বিভিন্নভাবেই উঠবে বলে আশা করা যায়। অগাস্টের ২৫ তারিখের পর পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে

মিজ রশীদ বলছেন, এখানে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোকে ব্যবহার করার একটা সুযোগ পাবে, আর সেই সুযোগটা বাংলাদেশ নিতে পারে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে।

এটা সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে একটা শুরু হতে পারে।

যদিও তিনি শঙ্কা প্রকাশ করছেন, এ সম্মেলনে সমাধানের সুযোগ কতটা তৈরি হবে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

এদিকে, চীন এবং মিয়ানমারের মধ্যে যে কৌশলগত সম্পর্ক এবং বন্ধুত্ব, এর মধ্য থেকেই বিষয়টিকে বের করে নিয়ে আসার একটি উপায় বাংলাদেশকে বের করতে হবে।

এখানে ইতিমধ্যেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ যে আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়া পেয়েছে, সেটি কাজে লাগাতে হবে। সেই সাথে দুই পক্ষের জন্যই সুবিধাজনক কোন একটি অবস্থা করে নিয়ে আসতে হবে।হিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশকে সাহায্য করবে চীন

মিজ রশীদ বলছেন, ইউরোপীয় দেশগুলো সবসময়ই এক ধরণের দ্বন্দ্বের মধ্যে থাকে। একদিকে, তারা যেমন মানবাধিকারের ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন, অর্থাৎ রোহিঙ্গা ইস্যুর মানবিক সংকটের দিকটি নিয়ে কথা বলছে তারা, আবার অন্যদিকে তারা মাইগ্রেশন ইস্যুটাকে সিকিউরেটাইজ করে ফেলেছে।

এর সঙ্গে তাদের নিজেদের জটিল ৈতিক বিষয়ও আছে।

দেখা যাবে, রোহিঙ্গাদের তৃতীয় কোন দেশে নেয়ার ব্যবস্থা হয়ত হবে না। ফলে সকলেই হয়ত বলবে, সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশকে রোহিঙ্গাদের প্রতিপালন করার কাজটি চালিয়ে যেতে হবে।

সেক্ষেত্রে হয়ত খরচ চালিয়ে যাবার জন্য সাহায্য দেবে তারা।

কিন্তু মনে রাখতে হবে, এটা সবারই য় আছে যে, বাংলাদেশ পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হলে সবারই অসুবিধা।

আঞ্চলিক এবং ভূ-রাজনৈতিক কারণে সেই বিষয়টি মাথায় রাখবে সবাই।

কিন্তু যেহেতু ইইউ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় থাকে সবখানে, ফলে তারা সমাধানের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাবে।

অগাস্টের ২৫ তারিখের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে রেহাই পেতে পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

ওবায়দুল কাদেরের ভাতিজাকে কাজ দিতে বড়পুকুরিয়ার গোপন টেন্ডার!

ওবায়দুল কাদের পলাতক থাকলেও তার ভাতিজা পরিচয়দানকারি আলমগীর হোসেনের দাপট এখন কমেনি। অনেক আপত্তি এমনকি কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকার...

গ্রেপ্তার আতঙ্কে চঞ্চল চৌধুরীর ভারত সফর বাতিল!

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ক্যারিয়ারের দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একগুচ্ছ সিনেমা। অভিনয় করেছেন ছোটপর্দা এবং টেলিভিশন নাটকেও।...

দুপুরের মধ্যে ৫ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা

দেশের পাঁচ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া...

দেশে স্টারলিংকের যাত্রা শুরু হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

বাংলাদেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার...