রাষ্ট্রয়াত্ত মোবাইল ফোরন অপারেটর টেলিটক প্রাথমিকভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে চতুর্থ প্রজন্মের (4G) টেলিযোগাযোগ সেবা শুরু করবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
বুধবার টেলিযোগাযোগ বিভাগে ফোরজি লাইসেন্স বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
টেলিটক ফোরজি সেবায় আসছে কিনা- সাংবাদিকদের প্রশ্নে তারানা বলেন, “টেলিটকের ক্ষেত্রে আমরা এটুকু আশ্বস্ত করতে পারি… ঢাকা এবং চট্টগ্রামে প্রথমে ফোরজি সেবা দিয়ে শুরু করবে।”
আগামী ডিসেম্বর থেকে দেশে ফোরজি সেবা শুরু করা যাবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
টেলিটকের নেটওয়ার্ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে অর্থ ছাড় না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “টেলিটকের ক্ষেত্রে আমাদের একটু দুঃখ তো আছেই। কারণ আমাদের দেশি প্রতিষ্ঠান; আমরা চাই… এই দেশের প্রতিষ্ঠানের মার্কেট আছে, কিন্তু আমাদের যে দুটি প্রজেক্ট, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এখনও অর্থ ছাড় হয়নি। আমরা তদবিরের মধ্যে আছি।”
টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে একনেক অনুমোদিত একটি প্রকল্পের অর্থ ছাড় না হয়ে এখনও ঝুলে আছে।
এটিসহ ফোরজির জন্য একনেক অনুমোদিত দুটি প্রকল্পে অর্থ ছাড়ের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে বলে জানান তারানা হালিম।
তিনি বলেন, “আমরা আশা করি এটির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে এই অর্থ ছাড় করা হবে। অর্থ ছাড় করা হলে টেলিটকের নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট হবে। আমরা টেলটকের যত ইক্যুপমেন্ট আনছি, থ্রিজির আনছি না। সবই ফোরজির এনেছি ইতোমধ্যে।
“আমাদের দুটি প্রকল্প আছে, একটি ফোরজির জন্য। সেটিও আলোর মুখ দেখছে না। আর একটি ৬১০ কোটি টাকার, যেটি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করার জন্য। একনেকে দুবার অনুমোদনের পরেও অর্থ ছাড় এখন পর্যন্ত হয়নি।”দেড় বছরেও অর্থ ছাড় না হওয়ায় হতাশ তারানা বলেন, “টেলিটকের জন্য অর্থ ছাড় করতে দেড় বছর পূর্তি করার পরও পাচ্ছি না। এখনও পাওয়ার ক্ষীণ আশার আলোও দেখা যাবে বলে মনে হচ্ছে না। দেশি প্রতিষ্ঠান কীভাবে টিকবে। আমাদের তো টেকাতে হবে। আমার হাতে তো আলাদীনের চেরাগ নাই যে রাতারাতি নেটওয়ার্ক উন্নত করব।
“অর্থমন্ত্রীকে, সচিবকে অনুরোধ করেছি যে আমাদের এই প্রকল্প ছাড় না করলে কীভাবে নেটওয়ার্ক উন্নত করব।”
বাজার প্রতিযোগিতা করে টেলিটক তার নিজের পায়ে দাঁড়াবে আশা প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “অন্য অপারেটরের মতো টেলিটককে ফোরজি নিতে হবে। আমি অভিভাবক হিসেবে আলাদা আচরণ করতে পারি না। এভাবে আমরা প্ল্যানিংটা করেছি।”