হ্যাশট্যাগ ইউনাইটেড। ইউটিউবে খেলা দেখিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে এই দল।
“আমরা একেবারেই গড়পড়তা ফুটবলার। কিন্তু যেরকম পেশাদার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখে সবাই, বলতে পারেন আমরা সেই স্বপ্নটাই পূরণ করেছি”। হ্যাশট্যাগ ইউনাইটেডের সহকারী অধিনায়ক সেব কারমাইকেল ব্রাউন এভাবেই বর্ণনা করলেন তাদের ফুটবল দলের সাফল্য।
হ্যাশট্যাগ ইউনাইটেড ফুটবল দলটি গড়ে তুলেছেন তারা বন্ধুবান্ধবরা মিলে। তারা সবাই কোন না কোন পেশায় কাজ করছেন। সখের বশে ফুটবল খেলেন। কিন্তু তাদের ফুটবল দল এতটাই সাড়া ফেলে দিয়েছে যে এর মধ্যে তারা যুক্তরাষ্ট্র, সার্বিয়া, আয়ারল্যান্ড ঘুরে এসেছেন। খেলেছেন ওয়েম্বলি আর ইতিহাদ স্টেডিয়ামের মতো জায়গায়।
তাদের এই সাফল্যের পেছনে একটাই রহস্য: ইউটিউবে সযত্বে প্রচার করা তাদের খেলা। হ্যাশট্যাগ ইউনাইটেডের একেকটি ম্যাচ ইউটিউবে দেখছেন গড়ে সাত লাখ দর্শক।দলের অধিনায়ক স্পেনসার ওয়েন একজন সফল ইউটিউবার
দলের অধিনায়ক স্পেন্সার ওয়েন অবশ্য একজন সফল ফুটবল এবং গেমিং ইউটিউবার। তাকে ইউটিউবে ফলো করেন প্রায় বিশ লাখ মানুষ। সেই সাফল্যকে তিনি কাজে লাগিয়েছেন তাদের দলের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর কাজে।
স্পেন্সার ওয়েন সব সময় নিজের একটা ফুটবল ক্লাব গড়বেন, এমন স্বপ্ন দেখতেন। তার স্বপ্ন সফল হয়েছে।
একটি ভিডিও গেম ফ্রাঞ্চাইজ ফিফা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তারা একটি কাল্পনিক টুর্নামেন্ট তৈরি করেছেন। এই টুর্নামেন্টে হ্যাশট্যাগ ইউনাইটেড ফুটবল ম্যাচ খেলে বাস্তব কিছু দলের সঙ্গে। ফিফথ ডিভিশন থেকে খেলা শুরু করে এখন হ্যাশট্যাগ ইউনাইডেট পৌঁছে গেছে ফার্ষ্ট ডিভিশনে। প্রতিটি খেলায় প্রাপ্ত পয়েন্টের ভিত্তিতে তারা রেলিগেশনের শিকার হয় বা উপরে উঠে।
হ্যাশট্যাগ ইউনাইটেড নিজেরাই ঠিক করে তারা কাদের বিরুদ্ধে খেলবে। মাঝে মাঝে তারা নামকরা ফুটবল ক্লাবগুলোর মাঠেও খেলতে যায়।
আর তাদের সব খেলা দেখানো হয় ইউটিউবে। ছয় সদস্যের ক্যামেরাম্যানদের একটি দল সারাক্ষণ তাদের ফলো করে। সযত্নে তারা প্রতিটি ম্যাচ ভিডিও করে ইউটিউবে ছাড়ে।
এতে খরচ হয় অনেক। কিন্তু বিভিন্ন স্পন্সরদের জন্য তারা খরচ উঠিয়ে নেয়। কোকা-কোলার মতো কোম্পানিও তাদের স্পন্সর করেছে।
দলটির জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বাড়ছে।হ্যাশট্যাগের চার খেলোয়াড়
বড় বড় ফুটবল ক্লাবের মতো হ্যাশট্যাগ ইউনাইটেড তাদের মার্চেনডাইজও বাজারে ছেড়েছে। তারা রিয়েলিটি টিভি শো এক্স-ফ্যাক্টরের স্টাইলে নতুন এক খেলোয়াড় নেয়ার জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে আবেদন করেছিল ২০ হাজার জন। সব খেলা রেকর্ড করে দেখানো হয় ইউটিউবে
উত্তর লন্ডনের যে মাঠে হ্যাশট্যাগ ইউনাইটেড তাদের নিয়মিত প্র্যাকটিস করে, সেটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা মাত্র এক হাজার।
কিন্তু দলটি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে তারা তাদের ম্যাচের দিন তারিখ আগে থেকে জানায় না বেশি মানুষের ভিড় এড়াতে। কারণ তাদের মূল লক্ষ্য ইউটিউবের জন্য ম্যাচের ভিডিও তৈরি করা, যেখানেই তারা লাখ লাখ দর্শকের কাছে পৌঁছায়।