তিন তালাক: বাংলাদেশের আইন কী বলে?

Date:

Share post:

তিন তালাকের িরুদ্ধে োট সাতটি পিটিশন জমা পড়েছিল ভারতের সুপ্রিম কোর্টে

ভারতের সর্বোচ্চ আদালত মঙ্গলবার এক রায়ে মুসলমানদের তিন তালাক প্রথাকে অসাংবিধানিক ে ঘোষণা করেছে।

পর পর তিনবার তালাক উচ্চারণ করে অথবা চিঠি লিখে, মাধ্যম বা ফো তিনবার তালাক উচ্চারণ করে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দেওয়া হয়, তার বিরুদ্ধে ৫জন মুসলিম নারী সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছিলেন।

তার ক্ষিতে এক সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।

এই রায় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে ভারতের মুসলমান এলাকাগুলোতেও।

কিন্তু বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মত মুসলমান-প্রধান দেশে তিন তালাক নিষিদ্ধ হয়েছে দীর্ঘদিন।

মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলছেন, পাকিস্তান আমলে নারী আন্দোলন কর্মীরা তিন তালাক বন্ধের জন্য চাপ ছিল। তখন য়ুব খান ক্ষমতায় ছিল।

নারী অধিকার কর্মীরা তখন হুমকি দিয়েছিল, তিন তালাকের বিষয়ে মুসলিম পারিবারিক আইনে যদি পরিবর্তন না আনা হয় তাহলে তারা আইয়ুব খান বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলবে।

ফলে ১৯৬১ সালে মুসলিম পারিবারিক আইনে সংস্কার সাধন করেছিল আইয়ুব খান সরকার। তখন বলা হয়েছিল, মুখে-মুখে তিন তালাকের কোন আইনগত বৈধতা থাকবে না।

সুলতানা কামাল বলেন, “মুসলিম বৈবাহিক আইনে ‘তালাকে আহসান’ এবং ‘তালাকে ইহসান’ বলে দুটো পদ্ধতি আছে। সে দুটো মিলিয়ে ‘তালাকে তৌফিজ’ পদ্ধতি সবার জন্য বৈধ করে দেয়া হলো। এ পদ্ধতির বলে স্বামী বা স্ত্রী যে কেউ তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারেন। কিন্তু তিন মাসের মধ্যে তারা যদি মত পরিবর্তন করে ফেলে তাহলে সে তালাক কার্যকরী হবে না। তিন মাসের মধ্যে যদি তারা মত না বদলায় তাহলে তিনমাস পরে সে তালাক কার্যকরী হবে”

আইয়ুব খান সরকার তালাকের ক্ষেত্রে যে সংস্কার এনেছিল সেটি এখনো বাংলাদেশে চালু আছে।

তিনি বলেন বাংলাদেশে আদালতের মাধ্যমে এবং পারস্পরিক ্মতির ভিত্তিতে বিবাহ বিচ্ছেদ সম্ভব।

বাংলাদেশে কেউ যদি বিচ্ছেদের ইচ্ছা পোষণ করে তাহলে সেটি একটি সালিশি বোর্ডের কাছে চলে যাবে। এ সালিশি বোর্ড তিন সদস্য বিশিষ্ট হয়। সেখানে একজন জনপ্রতিনিধি এবং স্ত্রী ও স্বামীর পক্ষ থেকে একজন করে প্রতিনিধি থাকে।

“যারা তালাকের জন্য ইচ্ছা পোষণ করেন, তারা যদি মনে করে তাহলে সালিশের মাধ্যমে একটি সমাধান নিতে পারে। যদি সেটা না হয়, তাহলে তিনমাস পরে সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হয়ে যাবে,” বলছিলেন সুলতানা কামাল।

বাংলাদেশে কেউ যদি তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইনগত সুরক্ষা চায় তাহলে তাকে সেটি দেয়া হয়।

কারণ তিন তালাক উচ্চারণের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ বাংলাদেশে বৈধ নয়।

কিন্তু ‘তিন তালাক’ উচ্চারণের মাধ্যমে কেউ বিবাহ বিচ্ছেদ করতে চাইলে তাকে শাস্তি দেবার বিধান নেই।

তবে সে তালাক আইনগত-ভাবে কার্যকরী হবে না। তখন স্ত্রীকে তার মর্যাদা দিতে হবে এবং তাকে ভরণ-পোষণ দিতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

অসুস্থ মাকে দেখতে স্কয়ার হাসপাতালে ডা. জোবাইদা রহমান

১৭ বছর পর ঢাকায় ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে...

বিদ্রোহীদের বাদ দিয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে ৯ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৪৩ জনকে...

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত

জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে দেওয়া...

স্বনামধন্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

স্বনামধন্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ (৬ মে) ঢাকার সপ্তম যুগ্ম মহানগর দায়রা...