যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বুধবার জো বাইডেনের প্রেসিডেন্ট আমলের সব চেয়ে অন্ধকার মূহুর্তগুলি: আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া সম্পর্কে প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হন

Date:

Share post:

 

্তর্জাতিক ডেস্ক 

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বুধ জো বাইডেনের প্রেসিডেন্ট আমলের সব চেয়ে অন্ধকার মূহুর্তগুলি: আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া র্কে প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হন।

ব্লিংকেনের কূটনৈতিক পেশা-জীবনের প্রায় অন্তিম মূহুর্তে এই শুনানি হলো,যখন নব নির্বাইচত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি এবং এই প্রতিনিধি পরিষদের এই কমিটির চেয়ারম্যান মাইকেল ম্যাককলের াদো শেষ হচ্ছে । তিনিও আগামি কংগ্রেসে এই কমিটির নেতৃত্ব দিবেন না। আমেরিকার দীর্ঘতম যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে এই দুই লোকের মধ্যে প্রায় চার বছর ধরে চলে আসা রিতার এটাই চূড়ান্ত মূহুর্ত।

টেক্সাস রিপাবলিকান ম্যাককল তাঁর উদ্বোধনী মন্তব্যে বলেন, “ এই বিপজ্জনক ঘটনাটি ছিল ব্যর্থ পররাষ্ট্র নীতির সূচনা যা কীনা বিশ্বে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। আমি আজ আপনার স্বাক্ষ্যদানকে স্বাগত জানাই এবং আশা করি সেই বিপর্যয়কর প্রত্যাহারের জন্য জবাবদিহিতার সুযোগ নেবেন”।

আশা করা গিয়েছিল যে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে তিনি সমর্থন করবেন। এর আগে তিনি বলেছিলেন যে ট্রাম্প এবং পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্টদের সিদ্ধান্তগুলি দ্বারা বাইডেন প্রশাসন “ মারাত্মক সীমাবদ্ধতায়” ছিল।

দীর্ঘদিন ধরেই প্রতীক্ষিত এই সাক্ষ্য প্রদান এমন এক সময় আসলো যখন প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকানরা ওই প্রত্যাহারের ব্যাপারে তাদের তদন্তের সোচনামূ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাঁরা এই ব্যর্থতায় ট্রাম্পের ভূমিকাকে খাটো করে দেখন যদিও তিনি তালিবানের সঙ্গে প্রত্যাহারের তে স্বাক্ষর করেন।

রিপাবলিকানের পর্যলোচনায় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ট্রাম্পের প্রত্যাহার চুক্তির শেষের কয়েক মাসে সামরিক ও বেসামরিক ব্যর্থতাকে তুলে ধরা হয় যার ফলে আমেরিকার মৌলবাদি শত্রু তালিবান ২০২১ সালের ৩০ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের শেষ কর্মকর্তারা আফগানিস্তান ত্যাগের আগেই গোটা দেশ জয় করে নেয়। সেই বিশৃঙ্খল অবস্থায় দেশত্যাগের সময়ে বহু আমেরিকান নাগরিক, আফগান যুদ্ধক্ষেত্রের মিত্র , নারী সক্রিয়বাদী এবং অন্যান্যদের তালিবানের ঝুঁকির মুখেই পেছনে ফেলে চলে যায়।

আগের তদন্ত ও বিশ্লেষণে চারজন প্রেসিডেন্টের আমলে পদ্ধতিগত ভাবে ব্যর্থ হওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং এই মর্মে উপসংহার টানা হয়েছে যে বাইডেন ও ট্রাম্প এ জন্য সব চেয়ে বেশি দায়ী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন

কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হলে...

দক্ষিণী অভিনেতা আল্লু আর্জুন গ্রেপ্তার

গত সপ্তাহে মুক্তি পেয়েছে পুষ্পা ফ্র্যাঞ্চাইজির দ্বিতীয় সিনেমা “পুষ্পা ২: দ্য রুল”। বৃহস্পতিবার মুক্তি পায় সিনেমাটি। তার আগে...

টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো স্বীকৃতি পেলেন ডনাল্ড ট্রাম্প

টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো স্বীকৃতি পেলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে উদ্বোধনী ঘন্টা বাজান...

ছাত্র শিবিরকে ঢাবি ক্যাম্পাসে পুনর্বাসনের চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ছাত্র শিবিরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) “ক্যাম্পাসে পুনর্বাসনের...