হবিগঞ্জের বানিয়াচুং থেকে মোশতাক আহমেদ খাঁকে আটক করা হয়
মঙ্গলবার ভোরের দিকে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচুং উত্তর-পশ্চিম নামক একটি গ্রাম থেকে পুলিশের অপরাধ দমন বিভাগ বা সিআইডির একটি বিশেষ দল মোশতাক আহমেদ খাঁকে আটক করে।
পুলিশ বলছে আল কাউসার নামে তার প্রতিষ্ঠিত নিবন্ধনহীন একটি এনজিও‘র অ্যাকাউন্টে তুরস্ক থেকে টাকা আসতো এবং তাদের সন্দেহ ঐ টাকা হয়তো জঙ্গি অর্থায়নে ব্যয় হচেছ।
২০১৫ সালে টাকা পাচারের এক মামলার তদন্তের সময় মোশতাক খাঁ পুলিশের নজরে আসে।
সিআইডির একজন পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম বিবিসির কাদির কল্লোলকে বলেছেন, এই ব্যক্তি একটি এনজিও চালাচ্ছেন যার কোনো নিবন্ধন নেই। তিনি বলেন, কোনো নিবন্ধন না থাকলেও, তার এনজিওর অ্যাকাউন্টে এবং তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে তুরস্কের একটি ইসলামিক এনজিও থেকে টাকা আসতো।
মি ইসলাম বলেন, অ্যাকাউন্ট দুটোতে প্রচুর টাকার লেনদেন দেখে তাদের সন্দেহ দৃঢ় হয়েছে।
পুলিশের আরেক কর্মকর্তা, নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, মোশতাক খাঁর এনজিও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে কাজ করতো এবং কয়েকটি ইসলামিক প্রতিষ্ঠানকে পয়সা দিতো।
সিআইডি পুলিশ বলছে, আল কাউসার নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলোকে টাকা পয়সা দিতো কিনা – সেটি এখন তদন্ত করা হবে।
পুলিশ মোশতাক খানকে বুধবার আদালতে নিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে।
এসব অভিযোগ সম্পর্কে মোশতাক খাঁর পক্ষ থেকে এখনও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বানিয়াচুঙের ইউপি চেয়ারম্যান ওয়ারেস উদ্দিন বিবিসিকে জানিয়েছেন, বেশ ক বছর তুরস্কে কাটিয়ে বছর ছ-সাত আগে মোশতাক খাঁ গ্রামে ফিরে আসেন। তার একটি দোকান রয়েছে।
মি উদ্দিন বলেন, কোনো রাজনীতির সাথে মোশতাক খাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা তিনি দেখেননি।