আদালতের বাইরে রায় সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানাচ্ছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান।বাংলাদেশের হাইকোর্ট পুরনো ঢাকায় আততায়ীদের হাতে নিহত দর্জি দোকানের কর্মী বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের ছয় জন নেতাকর্মীকে মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই দিয়েছে।
তবে মোট আটজন আসামীর মধ্যে বাদবাকি দু’জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।
নিম্ন আদালতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ঐ আটজনের প্রত্যেককেই এর আগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এই রায় দেন।
তবে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে গাফিলতি নজরে এসেছে বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান বিবিসিকে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার গাফিলতির বাইরেও নিহত বিশ্বজিৎ দাসের ময়না তদন্তেও গাফিলতি রয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
বিএনপির-নেতৃত্বাধীন ১৮-দলের অবরোধ কর্মসূচি চলার সময় গত ২০১২ সালের ৯ই ডিসেম্বর ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে দিনে দুপুরে খুন হন বিশ্বজিৎ দাস।
তাকে নির্মমভাবে হত্যার দৃশ্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে এ নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।
বিব্রতকর এক পরিস্থিতির মুখে পড়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
হাইকোর্টের রায়ে যাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড বহাল রয়েছে তারা হলেন রফিকুল ইসলাম শাকিল এবং রাজন তালুকদার।
সাজা কমিয়ে মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন এবং মীর মো. নূরে আলম লিমনকে।
আর সাইফুল ইসলাম এবং কাইয়ুম মিঞা টিপুকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দেয়া হয়েছে।