জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের (ইউএনএ) বাইরে আর কোনো রাজনৈতিক জোট গঠনের প্রক্রিয়ায় জাতীয় পার্টি নেই বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। শনিবার এক বিবৃতিতে এরশাদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, ইউএনএ’র বাইরে আর কোনো জোট গঠনের প্রশ্নই ওঠে না। জাতীয় পার্টির সঙ্গে অন্য কোনো দলের জোট গঠন সম্পর্কে কিছু বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশিত হবার প্রেক্ষিতে আমি সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই যে, আমার নেতৃত্বে যে সম্মিলিত জাতীয় জোট (ইউএনএ) গঠিত হয়েছে তার বাইরে আর কোনো জোট গঠনের প্রশ্নই ওঠে না।
তিনি বলেন, ‘আমার জোটে অন্য কোনো দলকে অন্তর্ভুক্ত করতে হলে সে বিষয়ে জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমরা ২টি নিবন্ধিত
দল এবং ৩৪ দলের সমন্বিত জাতীয় ইসলামী মহাজোট ও ২২ দলের সমন্বিত বাংলাদেশ জাতীয় জোটকে (বিএনএ) নিয়ে সম্মিলিত জাতীয় জোট গঠন করেছি। এই জোট নিয়ে দেশবাসীর মনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। এই জোটকে নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’
পরবর্তী নির্বাচন প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন,জাতীয় পার্টিসহ জোটের অন্য শরিকরা জোটগতভাবে এবং নিজ নিজ সংগঠনগতভাবেও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। আমাদের জোট সম্পর্কিত কোনো তথ্য জোটের মুখপাত্র জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার জানাতে পারবেন।’
আগামী নির্বাচনে জাপার নেতৃত্বাধীন জোট ৩০০ আসনে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান এরশাদ।
বুধবার রাতে বিকল্পধারার চেয়ারম্যান প্রফেসর একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাসায় কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান জিএম কাদেরও এক বৈঠকে অংশ নেন। এতে অংশ নেয়া নেতারা একটি বিকল্প রাজনৈতিক জোট গঠনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত।
ওই বৈঠকের পর থেকে আলোচনা হচ্ছে সরকারের শরিক জাতীয় পার্টি নতুন কোন রাজনৈতিক জোট করে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে কিনা। তবে নেতারা বি চৌধুরীর ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছিলেন বলে বিকল্প ধারার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।
প্রসঙ্গত,জাতীয় পার্টি জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। অন্যদিকে মন্ত্রিসভায়ও রয়েছে জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণ। তাই প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে এরশাদ আসলে কোন জোটে।