মদের আসরেই কি সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার চুক্তি হয়েছিল?

Date:

Share post:

সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সেই ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করছেন ইয়েলৎসিন এবং বেলারুশের স্ট্যানিস্লাভ শুশকেভিচ

১৯৯১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙ্গে গিয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। তিনটি সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র রাশিয়া, ইউক্রেন এবং বেলারুশের নেতারা সেবছর সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য এক ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করলেন। সেই ঐতিহাসিক ঘটনার দুই প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেন বিবিসির ডিনা নিউম্যান। ইতিহাসের সাক্ষী এই পর্বে জানা যাক সেই কাহিনী:

১৯৯১ সালের ডিসেম্বর। ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীর ভেঙ্গে যাওয়ার পর পূর্ব ইউরোপের বহু দেশে কমিউনিজমেরও পতন ঘটেছে। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন তখনো টিকে আছে। কমিউনিষ্ট পার্টি তখনও ক্ষমতায়, আর পার্টির নেতা তখন মিখাইল গর্বাচভ।

গর্বাচভ তখন এক কঠিন য় পার করছেন। ১৯৯১ সালের অগাষ্টে তার বিরুদ্ধে এক ্যুত্থানের চেষ্টা করেছে কট্টরপন্থী কমিউনিষ্টরা। তারা গর্বাচভের সংস্কার কর্মসূচী পেরেস্ত্রোইকার বিরোধী ছিল। কিন্তু সেই অভ্যুত্থান ব্যর্থ করে দিয়ে ক্ষমতায় টিকে গেলেন গর্বাচভ। কিন্তু এবার দেখা দিল নতুন সমস্যা। ১৫ টি সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের অনেকগুলোতেই স্বাধীনতার আন্দোলন জোরদার হয়ে উঠলো। ইউক্রেন সহ অনেক ছোট ছোট প্রজাতন্ত্রে স্বাধীনতার দাবিতে গণভোটও হয়ে গেল।

ইউক্রেনের নেতা লিওনিদ ক্রাভচুক তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে কিভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়া যায় তার পথ খুঁজছেন। “একটি স্বাধীন ইউক্রেন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা তখন আমার কাছে সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। পুরোনো রাষ্ট্রের ধ্বংসাবশেষের নীচে থেকে লাখ লাখ মানুষকে কিভাবে বাঁচানো যায় সেটাই তখন আমার চিন্তা।”এক অন্তরঙ্গ মূহুর্তে ইয়েলৎসিন এবং গরবাচেভ। শেষ পর্যন্ত গরবাচেভকে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্তির চু্ক্তি মেনে নিতে হয়।

১৯৯১ সালের ডিসেম্বরে বেলারুশে বৈঠকে বসলেন তিনটি সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের নেতারা। বৈঠকটি ডেকেছিলেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট স্ট্যানিস্লাভ শুশকেভিচ। ইউক্রেনের নেতা লিওনিদ ক্রাভচুক এবং রাশিয়ার নেতা বরিস ইয়েলৎসিন যোগ দিলেন তার সঙ্গে। ইউক্রেন ততদিনে স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছে। কিন্তু বেলারুশ তখনো সেরকম ঘোষণা দেয়নি। মিস্টার শুশকেভিচ দাবি করছেন, তখনো এ নিয়ে কোন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে তিনি পৌঁছাননি।

“বেলারুশে শীতকালে এবং গ্যাসের বরাহ কিভাবে নিশ্চিত করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা করাই ছিল আমার মূল উদ্দেশ্য। আমাদের তখন সংকটে। আমরা তখন এসব জ্বালানির মূল্য পরিশোধের ক্ষমতা নেই। আমাদের কেউ অর্থ ধার দিতে চাইছে না। সেজন্যে আমরা রাশিয়াকে অনুরোধ করতে যাচ্ছিলাম আমাদের সাহায্য করার জন্য, যাতে আমাদের শীতে জমে যেতে না হয়।” গর্বাচেভের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান চেষ্টা। ট্যাংক থামাতে মস্কোর রাস্তায় নামে হাজার হাজার মানুষ।

তবে এই বৈঠক সম্পর্কে লিওনিদ ক্রাভচুকের ভাষ্য অন্যরকম। তার মতে, সেখানে একমাত্র আলোচ্য বিষয় ছিল কিভাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত করা হবে।

“শুশকেভিচ যখন তেল এবং গ্যাসের কথা বলছিলেন, তখন আমার মাথায় আসছিল না, তিনি কি বলছেন। আমি ভেবেছিলাম, আমরা সেখানে গিয়েছি সোভিয়েত ইউনিয়নের ভবিষ্যত নিয়ে কথা বলার জন্য। দেশ তখন পরস্পরবিরোধী টানাপোড়েনে ভেঙ্গে যাওয়ার ক্রম। সংকটের কারণে মানুষ তখন অতিষ্ঠ। আমরা বেলারুশে গিয়ে বৈঠকে বসেছি দেশ কোনদিকে যাচ্ছে তা নিয়ে আলোচনার জন্য।”

আলোচনার পূর্ব নির্ধারিত বিষয় যাই থাক, তিন নেতাই ভালো করে জানতেন, গর্বাচভকে না জানিয়ে এরকম একটা বৈঠকে বসা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

“গর্বাচভের নির্দেশে সোভিয়েত গুপ্ত সংস্থা কেজিবির এজেন্টরা আমাদের গ্রেফতার করতে পারতো। কারণ সোভিয়েত কেজিবি তখনো গর্বাচভের অধীনে। কিন্তু আমাদের বেলারুশের গুপ্তচর সংস্থার প্রধান যোগাযোগ রাখছিলেন বরিস ইয়েলৎসিনের গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে। বৈঠকের পনের দিন আগে থেকে প্রতিদিন তিনি আমাকে নিশ্চয়তা দিয়ে গেছেন যে আমাদের গ্রেফতার হওয়ার কোন ঝুঁকি নেই। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, বেলারুশের গুপ্তচর সংস্থার প্রধান পরে যখন অবসর নিয়ে রাশিয়ায় গিয়ে বসবাস শুর করলেন, তখন তিনি অনুতাপ করেছেন, কেন আমাদেরকে ১৯৯১ সালে তিনি গ্রেফতার করেননি।”

১৯৯১ সালের ৭ই ডিসেম্বর রাশিয়ার নেতা বরিস ইয়েলৎসিন, ইউক্রেনের নেতা লিওনিদ ক্রাভচুক এবং বেলারুশের নেতা স্ট্যানিস্লাভ শুশকেভিচ পূর্ব বেলারুশের এক বিরাট খামারবাড়ীতে গিলে মিলিত হলেন।সোভিয়েত ইউনিয়নের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছিলেন যে তিনজন। বাঁ থেকে: ইউক্রেনের লিওনিদ ক্রাভচুক, বেলারুশের স্ট্যানিস্লাভ শুশকেভিচ এবং রাশিয়ার ইয়েলৎসিন।

“বাড়িটা ছিল খুবই বিলাসবহুল। সোভিয়েত শীর্ষ জন্য এই বাড়িটি তৈরি করা হয়েছিল। এ ধরণের বৈঠকের যেটা রীতি, একটি স্টীম বাথের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। সাধারণত এই স্টীম বাথের পর, প্রচুর মদ পানের আয়োজন রাখা হয়। তবে এবারের বৈঠকে দেখা গেল, মদ পানের পরিবর্তে আমাদের জন্য মাসাজ বা শরীর শের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সোভিয়েত রীতি অনুযায়ী এই বৈঠকে প্রচুর খানাপিনা এবং আরাম আয়েশের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।”

পরদিন ৮ই ডিসেম্বর তিন নেতা তাদের প্রধান্ত্রীদের সাথে নিয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসলেন। স্ট্যানিস্লাভ শুশকেভিচ জানালেন, বৈঠক শুরুর অল্প পরেই তারা সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্তির লক্ষ্যে চুক্তির প্রথম লাইনটির ব্যাপারে একমত হলেন:

“আমি আমার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই লাইনটি মনে রাখবো। এটি ছিল আমাদের চুক্তির শুরুর লাইন। কোন রকম তর্কবিতর্ক ছাড়াই আমরা এই লাইনটির ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন। লাইনটি ছিল এরকম: ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা এবং আন্তর্জাতিক আইনের বিষয় হিসেবে ইউনিয়ন অব সোভিয়েত সোশ্যালিষ্ট রিপাবলিকস বা ইউএসএসআর এর কোন অস্তিত্ব আর নেই। এই লাইনটি শুনে আমিই প্রথম বলেছিলাম, এতে আমি সই করবো।”

এই চুক্তির মধ্য দিয়ে সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচভ কার্যত অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়লেন। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলসিনের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা দেয়া হলো। পুরো পরিকল্পনাটির পেছনে ছিলেন ইয়েলৎসিন। যদিও এর মধ্য দিয়ে কার্যত কয়েক শতাব্দীর রুশ সাম্রাজ্য এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের অবসান ঘটলো। এটি ছিল এক বিরাট ্ষেপ। পরবর্তীকালে অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছিল, এই তিন নেতা যখন এই চুক্তি করেন, তখন তারা সেটি সুস্থ মাথায় করেছিলেন কিনা। বলছিলেন লিওনিদ ক্রাভচুক।

“এরকম একটা কল্পকাহিনী প্রচলিত আছে যে আমরা মদ্যপ অবস্থায় এই চুক্তির খসড়া তৈরি করেছিলাম। এটা পুরোপুরি ভুল। এটা ঠিক যে সোভিয়েত রীতিতেই ঐ বৈঠকটির আয়োজন করা হয়েছিল। ঐ বাড়ির সর্বত্র প্রচুর মদ পানের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু কেউ তা স্পর্শ করেনি। আমরা এক একটা অনুচ্ছেদের ব্যাপারে একমত হওয়ার পর বড়জোর এক দুই ফোঁটা ব্রান্ডি পান করতাম।” বার্লিন প্রাচীরের পতনের পর সোভিয়েত ইউনিয়নে কমিউনিজমের পতন ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র

পরবর্তী কয়েক ঘন্টায় তারা চুক্তির মোট ১৪টি অনুচ্ছেদের ব্যাপারে একমত হলেন। রাত তিনটে নাগাদ সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তি ঘোষণা করে তৈরি চুক্তির খসড়া তৈরি হয়ে গেল। এখন পুরো বিশ্বের সামনে ব্যাপারটা ঘোষণা করার পালা। বলছিলেন স্ট্যানিস্লাভ শুশকেভিচ।

“ইয়েলৎসিন এবং ক্রাভচুক মজা করে আমাকে বললেন, আমরা দুজন মিলে আপনাকে মনোনীত করেছি গর্বাচভকে বিষয়টি জানানোর জন্য। তখন আমি হেসে বললাম, মিস্টার ইয়েলৎসিন, আমি আর ক্রাভচুক মিলে আপনাকে মনোনীত করছি আপনার প্রিয় বন্ধু প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশকে ফোন করার জন্য। আমি মস্কোতে মিখাইল গর্বাচভের অফিসে ফোন করলাম। কিন্তু তারা আমাকে গর্বাচভের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে দিচ্ছিল না। তারা আমার কলটিকে একজনের পর আরেকজনের কাছে দিচ্ছিল। আর আমাকে বারবার ব্যাখ্যা করতে হচ্ছিল, আমি কে, কোত্থেকে ফোন করেছি! আর ইয়েলৎসিন এই ফাঁকে ডায়াল করলেন প্রেসিডেন্ট বুশকে। আর তাঁর পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী আঁন্দ্রে কোজিরেভ আরেকটি ফোন লাইনে প্রেসিডেন্ট বুশের কথা অনুবাদ করে দিচ্ছিলেন। ইউক্রেনের নেতা লিওনিদ ক্রাভচুক দুজনের কথা শুনছিলেন।”

এর মধ্যে বেলারুশের নেতা শুশকেভিচ টেলিফোনে গর্বাচভের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেলেন। এবারও তাদের দুজনের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন ইউক্রেনের নেতা ক্রাভচুক;

“দুজনের মধ্যে কঠিন কথাবার্তা হচ্ছিল। গর্বাচভ খুবই রেগে গিয়েছিলেন। তিনি বলছিলেন, আপনারা কি করেছেন! পুরো দুনিয়া উলট-পালট করে দিয়েছেন। সবাই তো আতংকের মধ্যে আছে। তবে এই কথাবার্তার সময় শুশকেভিচ ছিলেন শান্ত, ধীর-স্থির।”

সেই টেলিফোন আলাপের কথা এখনো মনে করতে পারেন মিস্টার শুকেভিচ:

“আমি গর্বাচভকে বুঝিয়ে বললাম, কি ধরণের চুক্তিতে আমরা সই করতে চলেছি। গর্বাচভ তখন একটা ভাব নিয়ে বললেন, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কী হবে? তখন আমি বললাম, আসলে বরিস ইয়েলৎসিন এখন প্রেসিডেন্ট বুশের সঙ্গে কথা বলছেন। এবং প্রেসিডেন্ট বুশের মনে হয় আপত্তি নেই!”

এর কয়েক ঘন্টা পরেই তিন নেতা এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই চু্ক্তিতে সই করলেন। এই সংবাদ সম্মেলনের পর এবার তাদের বাড়ি ফেরার পালা। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট স্ট্যানিস্লাভ শুশকেভিচ বাড়ি ফেরার পথে বুঝতে পারলেন, তারা যা করেছেন তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব:

“গাড়িতে বাড়ি ফেরার সময় আমি রেডিওতে খবর শুনছিলাম দুনিয়ার কোথায় কি ঘটছে। আমি খেয়াল করলাম, খবরে বার বার ইয়েলৎসিন আর ক্রাভচুকের নাম বলা হচ্ছে। আর আমার নাম যখন আসছে, তখন তারা সেটি ঠিকমত উচ্চারণ করতে পারছে না। চুকচোভিচ, শেশকোভিচ, শাখোভিচ, যার যা খুশি উচ্চারণ করছিল। তখন আমি বুঝলাম, আমরা একটা বিরাট খবর তৈরি করেছি। তবে তখন আমি বেশ ভয়ে ছিলাম। আমাদের আঞ্চলিক পার্লামেন্টের ৮২ শতাংশই সদস্যই হচ্ছে কমিউনিষ্ট। এরা যদি চুক্তিটি অনুমোদন না করে, আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এখানেই শেষ।”

তবে শেষ পর্যন্ত তিনটি আঞ্চলিক পার্লামেন্টই এই চুক্তি অনুমোদন করলো। শুধু তাই নয়, অন্য সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলোও এতে যোগ দিল। ১৯৯১ সালের ২৫শে ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট গর্বাচভ পদত্যাগ করলেন। বিলুপ্ত হয়ে গেল সোভিয়েত ইউনিয়ন। লিওনিদ ক্রাভচুক স্বাধীন ইউক্রেনের প্রথম প্রেসিডেন্ট হলেন। তিনি এখনো কিয়েভে থাকেন। স্ট্যানিস্লভ শুশকেভিচ ১৯৯৪ সালে ক্ষমতা ছাড়েন। তিনি এখন বেলারুশে একটি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, থাকেন রাজধানী মিনস্কে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

যাত্রাবাড়ীতে ১৫১ বোতল বিদেশি মদ ও ট্রাকসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-রমনা

স্থানীয় প্রতিনিধি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১৫১ বোতল বিদেশি মদ ও মদ পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাকসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার...

ডিসি হিলে ঐতিহ্যবাহী নববর্ষের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিকালে হামলা এবং ভাঙচুর,নববর্ষের অনুষ্ঠান বাতিল

স্থানীয় প্রতিনিধি চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার ডিসি হিলে ঐতিহ্যবাহী নববর্ষের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিকালে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় আগামীকালকের নববর্ষের অনুষ্ঠান...

অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

সময় ডেস্ক  মিস আর্থ বাংলাদেশ ২০২০-এর বিজয়ী অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার...

কে এই আশিক চৌধুরী

সময় ডেস্ক  পাইলট পরিবারের সন্তান আশিক চৌধুরী। পেশায় ব্যাংকার হলেও রপ্ত করেছেন বিমান চালানো। অন্তত অর্ধশত বার ঝাঁপ দেন...