ভবনটি ৭৯ তলা। আবাসিক। কেউ হতাহত হয় নি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু আবাসিক ভবনগুলোর একটি দুবাই-এর টর্চ টাওয়ারে আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে এই টাওয়ারে গত দু’বছরে দুবার আগুন লাগলো।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৭৯ তলা ও সাড়ে তিনশো মিটার উচ্চতার এই ভবনটির উপরের দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে।
সোশাল মিডিয়াতে পোস্ট করার ভিডিওতে ভবনটিতে আগুন লাগার পরপরই পুড়ে যাওয়া জিনিসপত্র উপর থেকে রাস্তার ওপর পড়তে দেখা যায়। আগুন খুব দ্রুত বাইরের দিকেও ছড়িয়ে যায়।
আগুন লাগার সাথে সাথেই টাওয়ারটির ভেতর থেকে খুব দ্রুত লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে দমকল বাহিনীর কর্মীরা কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে শেষ পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
স্থানীয় সময় রাত পৌনে বারোটার দিকে আগুন লাগে। আর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় পৌনে চারটার দিকে।
এই অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায় নি।
এই ভবনটিতে এর আগে আগুন লেগেছিলো ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এর জন্যে আংশিকভাবে দায়ী করা হয়েছিলো ভবনটির বাইরের দিকে লাগানো আচ্ছাদনকে। ভবনের আশেপাশে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু গাড়ি
সেবারও ভবনটি থেকে শত শত লোকজনকে বের করে নেওয়া হয়েছিলো। তখনও কেউ হতাহত হননি।
সবশেষ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বহুতল আবাসিক ভবনগুলোতে অগ্নি-নিরাপত্তা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে।
এবার ভবনটিতে কি কারণে আগুন লেগেছে সেটি এখনও জানা যায় নি।
আগুন লাগার পরপরই লোকজন সোশাল মিডিয়াতে ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতে শুরু করে।
কয়েক ঘণ্টা পরে আজ শুক্রবারও যেসব ছবি পোস্ট করা হয়েছে তাতেও দেখা যাচ্ছে, ভবনটির আশেপাশে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির কি ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দিনা নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী টুইটারে লিখেছেন, দমকল বাহিনীর আওয়াজে তার ঘুম ভেঙে যায়। তারপর তিনি দেখতে পান যে টাওয়ারটিতে আগুন লেগে গেছে।
দুবাই পুলিশ থেকে বলা হয়েছে, সকলের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আব্দুল্লাহ খলিফা আল মারি বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।টর্চ টাওয়ার, দুবাই যখন উদ্বোধন করা হয় তখন এই ভবনটি ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু আবাসিক ভবন। কিন্তু পরে এর চেয়েও উঁচু আরো ছ’টি ভবন নির্মিত হয়েছে।ভবনটিতে অ্যাপার্টমেন্টের সংখ্যা ৬৭৬। দুই বেডরুমের একটি ফ্ল্যাটের মূল্য কমপক্ষে পাঁচ লাখ ডলার।