মোঃ এনামুল হক,মোংলা প্রতিনিধি
মোংলায় একটি চিংড়ি ঘেরের জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধার ছেলেকে মারপিট ও তার চিংড়ি ঘের লুটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার চারজনকে আসামী করে থানায় এজাহার দিলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এদিকে থানায় এজাহারের অভিযোগ দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে প্রতিনিয়ত তাদের ঘের দখলসহ প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন অভিযুক্ত নীল কমল গাইন (৫৫), শ্রী নিবাস রায় (৪৫), বিষ্ণুপদ বৈরাগী (৬০) ও মোঃ সিরাজ (৪৫)। অভিযুক্ত সকলের বাড়ী মোংলা উপজেলার দিগরাজ ও বুড়িরডাঙ্গা এলাকায়।
মোংলা থানায় দায়ের হওয়া এজাহার সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের সাথে মোংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নে একটি চিংড়ি ঘেরের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে মুক্তিযোদ্ধা দুলাল চন্দ্র রায়ের ছেলে দীপক কুমার রায় ও প্রভাষ রায়ের। এনিয়ে আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার নীল কমল গাইন, শ্রী নিবাস রায়, বিষ্ণুপদ বৈরাগী ও সিরাজের নেতৃত্ব দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে দীপক ও প্রভাষের চিংড়ি ঘের দখলে হামলা চালায়। এতে প্রভাষ রায় গুরুতর আহত হন। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় হামলাকারীরা ঘেরের গৈ-ঘরে থাকা ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে এ ঘটনায় ওই চারজনকে আসামী করে থানায় এজাহার দাখিল করেন প্রভাষ রায়ের ভাই দীপক কুমার রায়।
ভুক্তভোগী জমি ও ঘের মালিক প্রভাষ এবং দীপক বলেন, আমাদের তিন একর পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলে নেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে নানা অপতৎপরতা চালিয়ে হয়রানী করে আসছে স্থানীয় চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও জমির দালাল নীল কমল ও শ্রীনিবাস গং। এনিয়ে আদালতে মামলা চললেও তারমধ্যেই আমাদের জমি ও ঘের দখলে নিতে হামলা মারপিট করে তারা। ঘটনার দিন থানায় এজাহার দেয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এর সত্যতা পেলেও এখনও পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আর এ সুযোগে অভিযুক্তরা আবারো তাদের চিংড়ি ঘের দখলসহ প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে জানান দীপক।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নীল কমলকে ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি। আর শ্রীনিবাসকে ফোন করা হলে তিনি কল কেটে মোবাইল বন্ধ করে রাখেন। উভয়কেই একাধিকবার ফোন করা হলেও তাদের সাথে কথা বলতে না পারায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘের সংক্রান্ত বিষয়ে দীপক কুমার রায়ের এজাহারের একটি অভিযোগ পেয়েছি, আমি বর্তমানে থানার বাহিরে অবস্থান করছি, এসে এ বিষয়ে অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইননুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।