জমির নামজারি সংশোধনে ‘ঘুষ’ দাবি করে ফেঁসে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুমা জান্নাত ও সহকারী মো. কবির। এ বিষয়ে দুদক ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে প্রতিকার চেয়েছেন এক ভুক্তভোগী।
এসিল্যান্ড মাসুমা জান্নাত
রোববার (৩০ জানুয়ারি) দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালকের বরারর এবং পরদিন মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী আবদুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে শ্যালক ইমরান খাঁন এ অভিযোগ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে মোছাম্মৎ ফরিদা বেগমের কাছে থেকে এক গণ্ডা জায়গা কিনেন আবদুল্লাহ আল মামুন। সংশোধন দলিলমূলে নামজারি ঠিক করতে ২০১৯ সালে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সার্ভেয়ারকে তদন্তের আদেশ দেওয়া হয় । সার্ভেয়ার তদন্ত করে প্রতিবেদনও জমা দেন। জমির মালিক আবদুল্লাহ আল মামুন বিদেশে থাকার কারণে সম্পত্তি দেখভালের জন্য ২০২০ সালে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি মূলে তাঁর শ্যালক মো. ইমরান খাঁনকে ক্ষমতা দেওয়া হয় । কিন্তু নামজারি খতিয়ান সংশোধনের জন্য বেশ কয়েকবার ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়। ঘুষ না দেওয়ায় তিন বছর ধরে নানা হয়রানি করা হচ্ছে।
অভিযোগকারী ইমরান খান বলেন, জমির সব কাগজপত্র ঠিক থাকা পরও দাবিকৃত দেড় লাখ টাকা ঘুষ দিতে না পারায় তির বছরেও জমির খতিয়ান সংশোধন করেননি এসিল্যান্ড মাসুমা জান্নাত। বছরের পর বছর হয়রানি করা হচ্ছে। ২০২১ সালে ৩০ নভেম্বর মো. কবির হোসেন দেড় লাখ টাকা ঘুষ চান আমার কাছে। পরে একই বছরের ডিসেম্বরে এ বিষয়ে এসিল্যান্ড মাসুমা জান্নাতের সঙ্গে দেখা করে জানতে চাইলে তিনি সংশোধন করতে হলে একটা ফান্ড দিতে হয় এমনটি জানান। পরে তিনি সহকারী মো. কবিরকে রুমে ডেকে আমার সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এরপর কবির দেড় লাখ টাকা দিলে কাজটি করে দেবেন জানিয়ে টাকার লেনদেন নৈশপ্রহরী রুবেল দাশের মাধ্যমে করতে বলেন। একপর্যায়ে টাকা ছাড়া কাজ হবে না বলে জানানো হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুমা জান্নাত বলেন, লিখিত অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত নই। কেউ যদি ঘুষ দাবির অভিযোগ করে থাকেন সেটি একেবারে অসত্য এবং ভিত্তিহীন। কারণ আমি এবং আমার অফিস দুর্নীতিমুক্ত।এছাড়া পুরো অফিস ও প্রতিটি কক্ষ সিসিটিভির আওতাভুক্ত।
সূত্র-আলোকিত চট্টগ্রাম