ডেস্ক নিউজ: করোনার মধ্যেও রেমিটেন্স প্রবাহ অব্যাহত রেখেছেন প্রবাসী শ্রমিকরা। মে মাসে রেকর্ড পরিমাণ ২১৭ কোটি ডলারের বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা একক মাস হিসেবে এ যাবতকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
এটি গত অর্থবছরের একই মাসের চেয়ে ৪৪ শতাংশ ও আগের মাস এপ্রিলের চেয়ে ৫ শতাংশ বেশি। সবমিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) প্রবাসী আয়ে প্রায় সাড়ে ৩৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা নতুন রেকর্ড।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তরা জানান, ঈদের কারণে মে মাসে প্রবাসীরা বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া রেমিটেন্সে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়ার পর থেকে প্রতি মাসেই প্রবাসীরা পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি অর্থ পাঠাচ্ছেন। করোনার সংক্রমণের মধ্যেও তাদের অর্থ প্রেরণ বেড়েছে।
২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স পাঠালে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরেও এই সুবিধা বহাল রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, মে মাসে ২১৭ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছে, যা এ যাবতকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
আর চলতি অর্থবছরের জুলাইতে একক মাস হিসেবে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আসে। ওই মাসে আসা রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার।
এদিকে গত অর্থবছরের মে মাসে রেমিটেন্স আসে মাত্র ১৫০ কোটি ৫০ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত মে মাসে রেমিটেন্স বেড়েছে প্রায় ৪৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। আগের মাস এপ্রিলেও রেকর্ড পরিমাণ রেমিটেন্স আসে দেশে। ওই মাসে দেশে রেমিটেন্স আসে ২০৬ কোটি ৭১ লাখ ডলার। গত বছরের এপ্রিল মাসে রেমিটেন্স এসেছিল মাত্র ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার।
এদিকে রেমিটেন্সের ওপর ভর করেই বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। গত ২ মে প্রথম বার রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে।
মাঝখানে কিছুটা কমার পর আবার বাড়তে বাড়তে এখন ৪৫ বিলিয়ন ডলারের ওপরেই অবস্থান করছে রিজার্ভ। মঙ্গলবার দিনশেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার।