ডেস্ক নিউজ : করোনার ২৩ হাজার ৯০টি টিকা পৌঁছেছে চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আজ শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান টিকাগুলো সংগ্রহ করেন।
কোল্ড চেইন বজায় রেখে এসময় ২ হাজার ৩৯০টি ভায়াল ভ্যাকসিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই স্টোরে সংরক্ষিত করা হয়। প্রতিটি ভায়াল থেকে ১০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান বলেন, সরকার ঘোষিত সম্মুখযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও ৫৫ বছরের উর্ধ্বে যাদের বয়স তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সেজন্য সবাইকে সুরক্ষা অ্যাপসে গিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে।
আগামী রবিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার মাধ্যমে কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনকালে উপস্থিত থাকবেন উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
রবিবার প্রথম ডোজ দেওয়ার পর ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ইতিমেধ্য ১ হাজার জনের তালিকা পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ১৮ বছরের কম বয়সী, গর্ভবতী মহিলা, সন্তানদের দুধপান করান এমন মা, যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা ভ্যাকসিন দিতে পারবেন না। এছাড়া ৫৫ বছরের উর্দ্ধে থাকা সকল নাগরিক রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দিতে পারবেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান মো.জসিম উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন পেয়েছে। যারা ভ্যাকসিন দিয়েছেন তাদের কোন পাশ্ব প্রতিক্রিয়া হয়নি।
তাই আমি দেশবাসীকে বলবো কোন কুসংস্কারকে পাত্তা না দিয়ে আপনারা নির্ভয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে ভ্যাকসিন দিন। এর মাধ্যমে আপনি সুরক্ষিত হবেন ও দেশ সুরক্ষিত হবে।
ভ্যাকসিন গ্রহণের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন, দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খোকা, বারইয়াহাট পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর আলম মাসুক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কামরুল আহসান হাবীব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার হোসেন, মেডিক্যাল টেকনোলজী ইপি আই কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন ও ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বাপ্পী।