আজ ১৬/০৭/২০১৭ইং রোজ রবিবার বিকাল ৪.০০ টায় রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার গ্রেফতার দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশীদ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পাট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ও যুবলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম যুবলীগ চেয়ারম্যানকে সব্যসাচী রাজনীতিবীদ আখ্যায়িত করে যুবলীগের কর্মকান্ডের প্রশাংসা করেন। তিনি আরও বলেন-রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে সেদিন অবৈধভাবে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পথ বন্ধ করতে চেয়েছিল তৎকালীন ইয়াজউদ্দিন-ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন সরকার। কিন্তু সেদিন তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের আন্দোলনের মুখে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন-বাংলাদেশের মানুষ এখন আর খালি পেটে, খালি গায়ে থাকে না। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১৩ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আগামী নির্বাচনে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করার আহ্বান। তিনি আরও বলেন- আমরা ব্যক্তিগত ভাবে কি পেলাম-কি পেলাম না সেটা বড় কথা নয়। আগামী নির্বাচনে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বি-নির্মাণের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করারও আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন- ১৬ জুলাই বাঙালি’র ইতিহাসে আরেক কলংকিত দিন। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যের মধ্য দিয়েই তার সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করা যায়। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বলেছেন বাংলাদেশকে যখন আমি দরিদ্রমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পরব, সম্ভাবত তখন’ই আমি বলতে পারব, আমি গর্বিত। তিনি আরও বলেন- আজ থেকে ঠিক বছর দশেক আগের সেই দিনটিকে কলঙ্কিত করার দুঃসাহস দেখিয়ে তারা কেবল দেশে অশান্তির আগুনই জ্বালিয়ে ছিল না, সেই সঙ্গে নিজেদের পতনের সুড়ঙ্গও প্রশস্ত করে ফেলেছিল। তিনি বলেন- এদের মদদ দিয়েছিল- সুশীল সমাজ, যারা তাদের দীর্ঘদিনের লালিত জিঘাংসা চরিতার্থ করতে মাইনাস টু ফর্মুলা দিয়ে ড. ইউসুস বা তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় বসিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। যার জন্য দেশে অশান্তি বিরাজ করছিল-সেই মেডাম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিল-শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের দুই মাস পর এবং বেগম খালেদা জিয়া সৌদি আরব চলে যেতে সম্মত হয়েছিল চিরতরে। তিনি আরও বলেন- সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত রিচার্ড ও ব্রিয়েনের লেখা উইমেন প্রেসিডেন্টস অ্যান্ড প্রাইম মিনিস্টার্স নামের বইটির প্রচ্ছদে উঠে এসেছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ছবি। বইটিতে তুলে ধরা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যের মধ্য দিয়েই তাঁর সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করা যায়। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বলেছেন- বাংলাদেশকে যখন আমি দারিদ্রমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব, সম্ভাবত তখন’ই আমি বলতে পারব, আমি গর্বিত। তিনি আরও বলেন- রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নায়, সারা বিশ্বের মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। তাই তো জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান বলেছেন- শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশ্ব মানবতার জন্য অনন্য এবং প্রয়োজনীয়। তিনি বিশ্ব মানবতার কণ্ঠসর।
আরও বক্তব্য রাখেন, যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য সহিদ সেরনিয়াবাত, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মোঃ ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মোঃ আতাউর রহমান, এডভোকেট বেলাল হোসাইন, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, মো. আনোয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম শাহীন, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাঃ বদিউল আলম, ফারুক হাসান তুহিন, সম্পাদক মন্ডলির সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, মোহাম্মদ ইসলাম, শ্যমল কুমার রায়, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, সাধারন সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিন যুবলীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইনউদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
আলোচনা সভায় সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুজ্জামান বাবুল এর মৃত্যুতে যুবলীগ চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
ছবি-সংগ্রহ।