ব্রাজিলের চপ্পল কিভাবে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়লো

Date:

Share post:

রঙধনু রঙের স্যান্ডেল দোকানে সাজানোছবির কপিরাইট Getty Images
Image caption রঙধনু রঙের স্যান্েল দোকানে সাজানো

এই গ্রহের সম্ভবত সবচেয়ে সাধারণ ও সাদাঠা জুতো – এক টুকরো প্লাস্টিক যা মানুষের পায়ের পাতার সমান এবং তাতে লাগানো টো ফিতে যা দিয়ে এটি পায়ের সাথে আট থাকে। অর্থাৎ এক জোড়া স্যান্ডেল।

ব্রাজিলের এই হাভায়ানাস ব্র্যান্ডের চপ্পল বলতে গেলে সারা বিশ্বের বাজার প্রায় দখল করে নিয়েছে।

এই স্যান্ডেল তৈরি করে যে কোম্পানি সেটি গত সপ্তাহে বিক্রি হয়ে গেছে একশো কোটি ডলারে।

কিন্তু সেটি অন্য গল্প।

এই কোম্পানিটি প্রত্যেক বছর বিক্রি করতো গড়ে প্রায় ২০ কোটি জোড়া স্যান্ডেল।

দের ভেতরে তো বটেই আন্তর্জাতিক বাজারেও এটি হয়ে উঠেছিলো আকর্ষণীয় এক পণ্য।

ছবির কপিরাইট Getty Images
Image caption আকর্ষণ বাড়াতে যোগ করা হয়েছে চকমকি জিনিসও

ব্রাজিলের প্রায় সর্বত্রই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই চপ্পলের দোকান। তাতে সারি সারি করে সাজানো আছে নানা রঙের ও স্টাইলের স্যান্ডেল।

কোনটাতে স্্যাপ লাগানো, কোনটা খুব বেশি উজ্জ্বল, কোনটা খুব হালকা, কোনটা আপনার প্রিয় ফুটবল ক্লাবের রঙের, আবার কোনটার হিল হয়তো সাধারণের চেয়েও উঁচু।

রাবারের তৈরি এই জুতোটি এখন ব্রাজিলের প্রায় সমার্থক হয়ে উঠেছে। নকি কোন কোনটার গায়ে ব্রাজিলের পতাকাও আঁকা।

কোম্পানির টুইটার অ্যাকাউন্টেও বলা হয়েছে, “হাভায়ানাসে আছে ব্রাজিলের আনন্দময় জীবনের স্বতঃস্ফূর্ততা।”

ছবির কপিরাইট Getty Images
Image caption ডিজাইনে এসেছে ফুটবলের ছোঁয়া

যুক্তরাজ্য থেকে অস্ট্িয়া, প্যারিস থেকে নিউ ইয়র্ক সর্বত্রই এই স্যান্ডেল বিক্রি হচ্ছে।

এটি প্রথমে বাজারে এসেছিলো ১৯৬০ এর দশকে। প্রথমে ছিলো শ্রমজীবী মানুষের পায়ে আর এখন এটি উঠে এসেছে ধনী গরিব সবার পায়ে।

শুরুর দিকে এটি ছিলো শুধু শাদা ও নীল রঙের। পরতো শুধু শ্রমিকেরাই। বিক্রি হতো ভ্যানগাড়িতে।

এই স্যান্ডেলের ডিজাইনে প্রথম বৈচিত্র ে ১৯৬৯ সালে, দুর্ঘটনাক্রমে। ভুল করেই দেখা যায় এক ব্যাচ স্যান্ডেল বেরিয়ে আসে সবুজ রঙের। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে এটি বাজারে সাড়া ফেলে দেয়।

ছবির কপিরাইট MATTHEW EISMAN
Image caption নিউ ইয়র্কের একটি দোকানে বিক্রি হচ্ছে এই চপ্পল

তখন থেকেই কোম্পানিটি নানা রকমের ্ষা নিরীক্ষা করতে শুরু করে। তারপরই শুরু হয় কোম্পানিটির রমরমা ব্যবসা।

অনেক ফ্যাশন সমালোচক একে ফ্যাশন জগতের ইতিহাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পণ্যের একটি বলে উল্লেখ করেছেন।

কিন্তু এই কোম্পানিটির মালিক জে এন্ড এফ গ্রুপ দেখাশোনা করতো ধনকুবের বাতিস্তা পরিবারের ধন সম্পদ।

সম্প্রতি এই পরিবারের ওপর উঠে দুর্নীতির অভিযোগ। কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যায় জে এন্ড এফ কোম্পানিটিও। তখন জে এন্ড এফ গ্রুপকে প্রচুর অর্থ জরিমানা করা হয়। আর সেই জরিমানা শোধ করতে বিক্রি করে দিতে হয় হাভায়ানাস কোম্পানি।

এখন নতুন মালিকানায় বিখ্যাত এই স্যান্ডেলের উৎপাদন চলছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

চট্টগ্রামে মসজিদের মাইকে ‘ডাকাত’ ঘোষণা দিয়ে গণপিটুনি, নিহত ২

স্থানীয় প্রতিনিধি সোমবার (৩ মার্চ) রাত ১০টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনা ছনখোলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- নেজাম উদ্দিন...

জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ; আহ্বায়ক নাহিদ, সদস্য সচিব আখতার

শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মানিকমিয়া অ্যাভিনিউতে নতুন রাজনৈতিক দল ও আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিবের নাম ঘোষণা করেন জুলাই-আগস্ট...

গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ

সময় ডেস্ক বেশ কিছু নাটক করে বেশ অল্প সময়েই দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ। নাটকের পর্দায়...

ট্রাম্প-মোদির বৈঠকে বাংলাদেশ বিষয়ে কথা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আন্তর্জাতিক সময় ডেস্ক ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন,ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর...