করোনা চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সাহেদকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে বলে জানান জেলার রফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার একটি প্রতারণা মামলায় রোববার সাহেদকে আদালতে হাজির করা হবে।
ঢাকায় রুট পারমিট নিয়ে দেওয়ার কথা বলে গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেগা মার্ট থেকে ৯১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গত ১৩ জুলাই চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলাটি করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডবলমুরিং থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সাহেদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত রোববার এই শুনানির দিন ঠিক করেছে।
এদিকে সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজ।
ডবলমুরিং থানার মামলায় অভিযোগ করা হয়, মেগা মোটরসের আমদানি করা থ্রি হুইলার্স যানবাহনের ঢাকায় রুট পারমিট পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ ও তার সহযোগী শহীদুল্লাহ প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও নগদে ৯১ লাখ ২৫ হাজার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে নিয়ে আত্মসাৎ করেছে।
২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নগদে ৩২ লাখ টাকা এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেডের প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঢাকার উত্তরা অ্যাভিনিউ গেইট শাখার মাধ্যমে বাকি ৫৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা জমা করা হয়।
জিয়াউদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের প্রতিষ্ঠান ‘মেগা মোটরস’র ১৭টি সিএনজি অটোরিকশার বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ২০১৬ সালে আটক করেছিল নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এসব অটো রিকশা ছাড়িয়ে নিতে সাহেদ করিম চট্টগ্রামে এসে অভিযানকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের হুমকিও দেন।
ওই অটো রিকশাগুলোসহ আরও ২০০ অটো রিকশা ঢাকায় রুট পারমিট নিয়ে দেয়ার কথা বলে সাহেদ করিম মেগা মার্টের মালিক জিয়া উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে ৯১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
মামলার বাদি জিয়া উদ্দিন জাহাঙ্গীরের চাচাত ভাই মো. সাইফুদ্দিন ওই সময় জানিয়েছিলেন, কয়েক দফায় ৯১ লাখ টাকা নেওয়ার পর স্মারক নম্বর ছাড়া বিআরটিএ চেয়ারম্যানের নামে একটি পরিপত্র তার ভাই জিয়া উদ্দিন জাহাঙ্গীরকে দেন সাহেদ। পরে বিআরটিএ চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করে তারা সেগুলো ভুয়া বলে জানতে পারেন।
“এরপর টাকা ফেরত চাইলে বিভিন্নভাবে আমাদের হুমকি-ধমকি দেয় সাহেদ। ঢাকায় গাড়ি চলাচলের অনুমতি নিয়ে দেবে বলে আরও কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার।”