চন্দনাইশ পৌরসভার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী হারলা সমবায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ১৯১৮ সালে নির্মিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়ে ৪ কক্ষ ও ২ কক্ষ বিশিষ্ট ৩টি একতলা ভবন রয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিম পাশের ৪ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা মূল ভবনটি অত্যন্ত জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে ওই বিদ্যালয় ভবনে শ্রেণী কার্যক্রম চালাতে নিষেধ করা হয়েছে। তারপরও জায়গার সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ওই ভবনের একটি কক্ষে ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এতে যেকোনও সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
হারলা সমবায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি উপজেলা আ‘লীগ সদস্য আবুল কাশেম বাবলু জানান, ১৯১৮ সালে ২৮ শতক জমির উপর হারলা সমবায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট ও ২ কক্ষ বিশিষ্ট ৩টি ভবন রয়েছে।
৪ কক্ষ বিশিষ্ট ভবনটি ১৯৯৪ সালে নির্মিত হলেও নিম্নমানের কাজ হওয়ায় ৪ কক্ষ বিশিষ্ট মূল ভবনটিই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনটির ছাদের পলেস্তারা কসে পড়ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাথায়। তাছাড়া ভারী বৃষ্টিপাতের সময় ছাদ ছুঁয়ে পানি পড়ে ক্লাসের চেয়ার টেবিল, শিক্ষার্থীদের বই খাতা পর্যন্ত ভিজে নষ্ট হয়।
তিনি বলেন, বিদ্যালয়টির বেহাল দশার কথা উল্লেখ করে ইতিমধ্যে উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অর্চনা রানী সুশিল জানান, এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থী রয়েছে ২৫০ জন। প্রধান শিক্ষকসহ কর্মরত শিক্ষকের সংখ্যা ১০ জন। তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের পিলার ও দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে, ছাদ খসে পড়ে রড বেরিয়ে পড়েছে। এতে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে ভবনটিতে ক্লাস নিতে নিষেধ করা হয়েছে। ফলে আমরা এখন বিদ্যালয়ে ২ শিফ্টে ভাগ করে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছি। এতেও জায়গার সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবনটির একটি কক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে হচ্ছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়তই আতংকের মধ্যে থাকেন। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে নতুন একাডেমিক ভবনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে ইতিমধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হাসান আল মামুন বলেন, বিদ্যালয় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ইতিমধ্যে উক্ত ভবনে শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, হারলা সমবায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দোহাজারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলার মোট ১০টি বিদ্যালয়ের জন্য নতুন একাডেমিক ভবনের চাহিদাপত্র ইতিমধ্যে শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি আগামী বছরের মধ্যেই বিদ্যালয়গুলোতে নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণে বরাদ্দ পাওয়া যাবে।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান।
Date:
Share post: