ফর্ম বিবেচনায় টেস্টে ভারতের সর্বকালের ব্যাটসম্যান হয়ে গেছেন বিরাট কোহলি। বর্তমানে ভারত অধিনায়কের রেটিং পয়েন্ট এখন ৯৩৭। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বকালের সেরা রেটিং এটি। আগের সেরা রেটিংটাও তাঁর ছিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ফিফটি ও সেঞ্চুরিতে ৯৩৪ পয়েন্টে উঠে এসেছিলেন কোহলি।
এ সপ্তাহের রেটিং আইসিসির সর্বকালের সেরাদের তালিকায় ১১তে তুলে এনেছে তাঁকে। আরেকটি তালিকাতেও একাদশতম স্থানে আছেন কোহলি। টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে ৩৮ টেস্টেই ৩ হাজার ৮৯৬ রান কোহলির। তাঁর চেয়ে ২২টি বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েও মহেন্দ্র সিং ধোনি ৪০০ রান কম করেছেন। ইতিহাসেই কোহলির চেয়ে বেশি রান করেছেন মাত্র ১০ জন। সেটা ম্যাচ কম হওয়ার কারণে, না হলে ব্যাটিং গড়ে শীর্ষ দশের সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক। আর ৫১ রান করলেই এমনিতেও শীর্ষ দশে ঢুকে পড়বেন।
এ তো গেল ব্যাটসম্যান কোহলির কথা। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবেও দুর্দান্ত করছেন কোহলি। শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে ৭ টেস্ট সেঞ্চুরি পাওয়া দিল্লির এই তারকা অধিনায়ক হিসেবে পেয়েছেন ১৬টি সেঞ্চুরি। শুধু সেঞ্চুরিই করছেন না, নিয়মিত দলও জেতাচ্ছেন। মাত্র ৩৮ টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ২২ ম্যাচেই জয় পেয়েছেন। ভারতের সফলতম অধিনায়ক এখনো পর্যন্ত ধোনি। কিন্তু ২৭ ম্যাচে জয় পেতে ধোনিকে ৬০ ম্যাচে নেতৃত্ব দিতে হয়েছে। ট্রেন্ট ব্রিজেই যাকে টপকেছেন, সেই সৌরভ গাঙ্গুলি ২১ জয়ের জন্য খেলেছেন ৪৯ ম্যাচ। ভারতের পক্ষে দুইয়ের বেশি ম্যাচ জিতেছেন, এমন কোনো অধিনায়কের সাফল্যের হার কোহলির ধারে কাছে নেই।
জয়-পরাজয়ের অনুপাত হিসেব করলে তো কোহলির ধারে কাছেও নেই ধোনি কিংবা সৌরভ। সাফল্যের হারের মতো কঠিন হিসাব নিকাশও যদি মাথায় না রাখা হয়, তবু ভারতের সফলতম অধিনায়ক হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। আর মাত্র ৬টি টেস্ট জিতলেই ধোনিকে টপকে যাবেন কোহলি। সে লক্ষ্য ছুঁতে কোহলির যে খুব সময় লাগবে না, এ নিয়ে বাজি ধরতে রাজি আছেন সবাই।