ইউরোপের নিষধাজ্ঞার পরেই রাখাইনের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করলো মিয়ানমার

Date:

Share post:

মিয়ানমার সেনাবাহিনী ছবির কপিরাইট AFP
Image caption ইউপের ষধাজ্ঞার পরেই মিয়ানমারের অন্যতম শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হলো।

রোহিঙ্গা নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত মিয়ানমারের একজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা মং মং সোয়ে-কে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিয়ানমারের শীর্ষ সাত সেনা কর্মকর্তাদের উপর েধাজ্ঞা দিয়ে যে তালিকা প্রকাশ করেছিল সেখানে এ সামরিক কর্মকর্তার নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কানাডার প থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকরী করার কয়েক ঘন্টা পরেই সামরিক বাহিনী থেকে তাকে বরখাস্তের ঘোষণা আসলো।

আরো পড়ুন:

আন্তর্জাতিক আদালতকে দেওয়া পর্যবেক্ষণে যা বলা হল

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দেরি হলে কী করবে বাংলাদেশ?

রোহিঙ্গা নির্যাতন: মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাফাই

Image caption রোহিঙ্গাদের গ্রামে আগুন দিয়ে বহু বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।

মেজর মং মং সোয়ের উপর গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আমেরিকার তরফ থেকেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল।

গত বছরের শেষ দিকে সে সামরিক কর্মকর্তাকে রাখাইন অঞ্চল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল।

এছাড়া অপর একজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে ত্যাগ করেছেন।

সেনাবাহিনীর কমান্ডার-ইন-চীফের দপ্তর থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ,রাখাইন অঞ্চলে ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে মিয়ানমারের পুলিশের উপর রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির মণের সে অঞ্চলের ‘নিরাপত্তা পকিল্পনা’ যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা করতে ব্যর্থ হওয়ায় জেনারেল মং মং সোয়ে-কে সামরিক বাহিনী থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

এছাড়া মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সাথে কোন রকম সামরিক সহযোগিতা করবে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা আরেকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল অং কেও জ-কে একমাস আগে স্বাগত কারণে পদত্যাগের সুযোগ দেয়া হয়েছে।

তিনিও রাখাইন অঞ্চলের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে মিয়ানমারের যেসব সেনা এবং পুলিশ কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তারা রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন, হত্যা, যৌন সহিংসতা এবং অগ্নিসংযোগের জন্য দায়ী।

রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের হত্যা, নারীদের ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগ থেকে বাঁচতে ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে দুই দফায় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

য় আরো পড়তে পারেন:

উত্তর কোরিয়ার রহস্যময় এক হোটেলের কাহিনী

আর্জেন্টিনার ভাগ্য নির্ভর করছে আইসল্যান্ডের উপর

এরদোয়ানের বিজয়ে কেন খুশি ইসরায়েল আর ইরান

রোহিঙ্গাদের জমি নিচ্ছে রাখাইন সরকার, কেটে নিচ্ছে ফসল

আপনার ডিভাইস মিডিয়া প্লেব্যাক সমর্থন করে না

ৎকারে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া

Source from: http://www.bbc.com/bengali/news-44610803

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

আমেরিকা পার্টি নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলেন ইলন মাস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির পর নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার ঘোষণা দিয়েছেন...

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিনকে সাময়িকভাবে পদ থেকে বরখাস্ত

ডেস্ক নিউজ সংগঠনের নীতিমালা ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিনকে...

গাজায় একদিনে ৭০ জন নিহত, সকাল থেকে ৪৭ জনকে হত্যা

গত ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকাজুড়ে বিভিন্ন হাসপাতালে কমপক্ষে ৭০ জনের লাশ আনা হয়েছে। একই সময়ে ৩৩২ জন আহত ব্যক্তি...

পাঁচটি সামরিক স্থাপনায় ইরানের সফল হামলার বিষয়ে ইসরায়েল নীরব: টেলিগ্রাফ

মার্কিন ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকদের পরিচালিত স্যাটেলাইট তথ্য বিশ্লেষণের বরাত দিয়ে দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, একটি বৃহৎ বিমানঘাঁটিসহ...