
প্রথম ম্যাচে ড্র করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ২-০ গোলের দারুণ জয় পেয়েছে ব্রাজিল।
কোস্টারিকার সাথে শুক্রবার রাতে খেলায় দারুণ খেলেছেন বিশ্বের দামী খেলোয়াড় নেইমার। ইনজুরি টাইমে গোলও পেয়েছেন।
কুটিনিও আর নেইমারের গোলে কোস্টারিকা তখন পরাস্ত ২-০ গোলে।
কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার পর এগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে কমই। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এর পরিবর্তে বরং আলোচনা হচ্ছে তার পড়ে যাওয়া, নাটক করা কিংবা শেষ বাঁশির পর কান্নার ঘটনাগুলো।
কিন্তু এটি সত্যি পছন্দ করুন বা অপছন্দ করুন, এ মূহুর্তে বিশ্বের সবচেয়ে দামী এই খেলোয়াড়টিই এখন মানুষের আলোচনার বিষয়বস্তু।
ইনজুরি টাইমের কৌশল
ডগলাস কোস্তার ক্রস থেকে ব্রাজিলের দ্বিতীয় গোলটি করেন নেইমার কিন্তু ম্যাচের তখন ৯৭ মিনিট।
এ নিয়ে দেশের পক্ষে ৮৭ ম্যাচে ৫৬ গোল করেছেন তিনি। এখন পেলে আর রোনালদোই রয়েছেন কেবল তার সামনে।
কিন্তু তারপরেও বিবিসি স্পোর্টস দেখেছেন যারা তাদের বিবেচনায় নেইমারই কম রেটেড খেলোয়াড়।
সম্ভবত এর কারণ আগের ঘটনাগুলো।
আরো পড়তে পারেন:
শেখ হাসিনা যেভাবে আওয়ামী লীগের নেতা হলেন
নেইমারের ডাইভ ও কান্না নিয়ে এত কথা কেন?
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে জাতীয় রাজনীতির আঁচ
কি সেই ঘটনাগুলো?
ম্যাচের তখন ৭৮ মিনিট। কোস্টারিকার ডি বক্সে রক্ষণভাগের খেলোয়াড় গঞ্জালেজের সাথে তার কোন সংঘর্ষ হয়নি, কিন্তু নেইমার এমনভাবে পড়ে গেলেন যে মনে হলো বিরাট কিছু একটা হয়েছে।
রেফারিও বুঝতে পারেননি যে এটি ছিলো নেইমারের অভিনয় মাত্র, ফলে বাঁশিও বাজালেন তিনি।
কিন্তু তীব্র প্রতিবাদ আসলো কোস্টারিকার খেলোয়াড়দের কাছ থেকে। ফলে ভিএআরের সহায়তা নিলেন রেফারি।
আর রিপ্লেতে দেখা গেলো রীতিমত নাটক করেই পড়ে গেছেন নেইমার, বাতিল হয়ে গেলো পেনাল্টির সুযোগ।
এ নিয়ে মূহুর্তেই ইন্টারনেট দুনিয়া সরগরম হয়ে ওঠে।
আর খেলার সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিলো ছয় মিনিট কিন্তু নেইমার তার গোল করলেন ৯৭ তম মিনিটে। কস্তার পাস থেকে বল পেয়ে কোস্টারিকার গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেন তিনি।
প্রকাশ্যে আবেগের প্রদর্শনী
খেলা শেষের বাঁশি বাজালেন রেফারি। ব্রাজিল জিতেছে ২-০ গোলে। খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও সমর্থক সবাই উল্লাস করছে।
ঠিক সেই সময় নেইমারকে পাওয়া গেলো ভিন্ন দৃশ্যে। হাঁটু গেড়ে মাটিতে বসে দু হাতে মুখ ঢেকে কাঁদছেন তিনি।
অথচ এটি বিশ্বকাপের ফাইনাল নয়, ছিলো মাত্র গ্রুপ পর্যায়ের খেলা।
পরে অবশ্য ইন্সটগ্রামে ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “কান্না ছিলো আনন্দের ও জয় পাওয়ার কারণে।”
Source from: http://www.bbc.com/bengali/news-44584842