ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশার ব্যক্তিজীবন নিয়ে কম কাটাছেড়া হয়নি। তবে এবার তার বিরুদ্ধে বিয়ে ও বাচ্চা অস্বীকারের অভিযোগ উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিশার কিছু পুরনো ছবি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাকে একটি শিশুকে আদর করতে দেখা যাচ্ছে।
এক সাংবাদিকের দাবি, ওই শিশুটিই তিশার আপন সন্তান। এই সন্তান ও বিয়ের খবর তিনি এতোদিন গোপণ করে আসছেন। সাম্প্রতিক ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে নিউ ইয়র্কে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সঞ্চালনায় একটি টক শো থেকে। ওই শোতে অংশ নিয়ে মা হওয়ার ইচ্ছার কথা জানান তানজিন তিশা। তিনি বলেন, ‘আমি মা হতে চাই।’
এরপর প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর সামাজিক মাধ্যমে তিনটি ছবি প্রকাশ করে দাবি করেন, এগুলো তানজিন তিশার সন্তান ও সাবেক স্বামীর ছবি। নির্ঝর ওই ছবিগুলোর ক্যাপশনে লেখেন, ‘সেলিব্রিটি হওয়ার পর মানুষ কি তার গর্ভের সন্তানকেও অস্বীকার করতে পারে? এই ছবিগুলো তিশার মিডিয়ায় আসার আগের। তার সাবেক স্বামী বর্তমানে দুবাইয়ে থাকেন। সেই ঘরে তাদের একটি পুত্রসন্তান জন্ম নেয়, যে বর্তমানে ঢাকায় দাদির সঙ্গে থাকে।’
নির্ঝর আরো লেখেন, ‘তিশা টক শোতে মিথ্যা কথা বলেছেনে। বছরখানেক আগে তানজিন তিশাকে নিয়ে স্টোরি করতে গিয়ে আমরা তার পুত্রসন্তান এবং সাবেক স্বামীকে খুঁজে বের করেছিলাম। তিশা আপনি প্রমাণ করেন, এই বাচ্চা আপনার ছিল না।’
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে গত শনিবার রাতে তিশা সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে আমার সন্তান আছে, তাকে ২০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫ লাখ টাকা) দেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা আমার ভাগ্নে-ভাগ্নির ছবি দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে, তারা এখন সুবর্ণ সুযোগ পেল। আমার যত লুকানো বাচ্চাকাচ্চা আছে, সবাইকে আমার কাছে পৌঁছে দিলে নগদ ২০ হাজার ডলার পুরস্কার।’
এদিকে, ওই টক শোতে তিশার কাছে নিজেকে নিয়ে শোনা গুজব নিয়ে জানতে চান জায়েদ খান। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার নাকি ২টা বিয়ে হয়েছে। ৩ নম্বর বিয়ের খবরের জন্য অনুসন্ধান চলছে। এছাড়া আমার একটি সন্তান আছে। তাকে আমি দাদির কাছে লুকিয়ে রেখেছি। এমন গুঞ্জন শুনে সব সময়ই হাসি পায়।’
অনুষ্ঠানে তানজিন তিশাকে আরও প্রশ্ন করা হয়, পাঁচ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চাও? জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘আই উইল বি অ্যা মাদার।
এরমধ্যে আমি বিয়ে করবো। মা হবো। দেখুন এভাবে হয় তো কেউ বলবে না, যেভাবে আমি বলেছি। কারণ, মানুষের প্রফেশনাল লাইফের সঙ্গে পারসোনাল লাইফটাও গুরুত্বপূর্ণ। সেটিকে এড়িয়ে চলার সুযোগ নেই। লুকানোরও কিছু নেই।’