জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারার এআই সম্পাদিত হাফপ্যান্ট পরিহিত একটি ছবির ফটো কার্ড প্রকাশ করেছে কালের কণ্ঠ ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকা। রবিবার (৬ জুলাই) এই দুই পত্রিকার বিরুদ্ধে সম্মানহানির অভিযোগ তোলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন এনসিপির এই নেতা।
ওই পোস্টে তাসনিম জারা লেখেন, দুই সংবাদপত্র কালের কণ্ঠ ও দৈনিক ইত্তেফাক — এমন কিছু ফটো কার্ড প্রকাশ করেছে, যেগুলো ইঙ্গিত করছে যে আমি নাকি জনসমক্ষে ‘হাফ প্যান্ট’ পরিহিত অবস্থায় ছবি তুলেছি। এই প্রতিবেদনগুলোর কেন্দ্রবিন্দু একটি ছবি, যা স্পষ্টতই এআই-র মাধ্যমে বিকৃত বা তৈরি করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য শুধুই বিতর্ক তৈরি এবং আমাকে হেয় করা। ছবিটি যে নকল, সে ব্যাপারে পত্রিকায় কোনো স্পষ্ট উল্লেখ নেই। কেবল এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যেন সন্দেহ তৈরি হয়, গুজব ছড়ায় এবং আমার সম্মান ক্ষুণ্ন করা যায়।
তিনি লেখেন, এই দুটি মিডিয়া অনেকদিন ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষেই কাজ করে আসছে। এখন তারা আবার ফিরে গেছে সেই পুরোনো কৌশলে। যখন তাদের কাছে সত্য থাকে না, তখন তারা কেলেঙ্কারি সৃষ্টি করে। যখন তারা কোনো নারীর কাজকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে না, তখন তার শরীরকে আক্রমণ করে। এই মিডিয়াগুলো দীর্ঘদিন ধরে সরকারপ্রধানের প্রোপাগান্ডার যন্ত্র হিসেবে কাজ করেছে। এখন তারা তথাকথিত ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মুখোশ পরে সেই একই ভূমিকাই পালন করছে। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার উন্মোচন করছে না, বরং সেটাকেই রক্ষা করছে — এমনকি ক্ষমতা পতনের পরও।
তিনি আরও লেখেন, যদিও শিরোনামে বলা হয়নি এটি আসল ছবি। তবে এটি যে নকল তাও বলাও হয়নি। এই অনিশ্চয়তাই তাদের অস্ত্র। তারা নারী বিদ্বেষকে কাজে লাগায়। তারা জানে যে, একটি রক্ষণশীল সমাজে কোনো রকম অসৌজন্যতার ইঙ্গিত দিলেই তা বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই নিন্দা ডেকে আনে।
এনসিপির এই নেতা আরও লেখেন, কেউ একটি ছবি একটি যন্ত্রে ঢুকিয়ে সেটাকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চালাবে আর আমি সরে যাব। এটি হবে না। আমি আমার কণ্ঠকে দমন হতে দেব না, কারণ এই দেশের মানুষের জন্য এখনো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাকি।
উল্লেখ্য, ছবিটির বিষয়ে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার জানায়, ডা. তাসনিম জারার হাফপ্যান্ট পরিহিত ভাইরাল ছবিটি আসল নয়। বরং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার ফুল প্যান্ট পরা একটি ছবি সম্পাদনা করে এই ছবি তৈরি করা হয়েছে।