সেলফি তোলায় শেষ পর্যন্ত দেশই ছাড়তে হলো ইরাকী সুন্দরীকে

Date:

Share post:

সারাহ আইডান
Image caption াহ আইডান

“আমার ও আমার পরিবারের ব্যাপারে ত্যুর হুমি পেয়েছিলাম। আমাকে এবং আমার পরিবারকে দেশই ছাড়তে হয়। আমি খুবই ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু আমি ছবিটি সরিয়ে ফেলিনি। মিস ইরাক র্গানাইজে য়েছিলো ছবিটি সরাতে কিন্তু আমি তা করিনি”।

যে ছবিটি নিয়ে এতো কাণ্ড সেটি প্রকাশ করা হয়েছিলো ইনসটাগ্রামে। সেখানে মিস ইরাকের সাথে ছিলেন মিস ইসরায়েল – আর বিপত্তি বেঁধেছে সেটি নিয়েই।

কারণ এরপর এটি নিয়ে এতো বিতর্ক তৈরি হয় যে শেষ পর্যন্ত দেশ ছাড়তে হয় মিস ইরাক সারাহ’র পরিবারকে।

কিন্তু ছবিটি এলো কোথা থেকে? কীভাবে?

“আমাদের মধ্যে প্রথম দেখা হয় বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার ফটোশুট সেশনে এবং এরপরই আা কথা বলতে শুরু করলাম। সে আমাকে তখনই বলেছিলো যে সে আমার সাথে কথা বলতে কিছুটা ভয় পাচ্ছে কারণ সে মিস ইসরায়েল আর আমি মিস ইরাক। আমি বললাম সেটা কেন? সে বললো কারণ আমাদের দু’জনের দেশ”।

ইসরায়েলকে নিয়ে মুসলিম দেশগুলোর মনোভাব সম্পর্কে সবারই জানা আছে। রাজনৈতিক শত্রুতার জের ধরে মধ্যপ্রাচ্য বা উপসাগরীয় অঞ্চলের বহু মাষ ইসরায়েলকে বা এর কোন নাগরিককে সহজ ভাবে নেয় না।

এটি আর এখন কোন গোপন বিষয়ও নয়। ফলে ঝামেলা এড়াতে সুন্দরী প্রতিযোগিতা হোক আর অন্য যে কোন কিছুই হোক, ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর সবাই এমন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে সচেতন থাকেন সবসময়।

Image caption ২০১৭ সালের মিস ইসরায়েল এডার গান্ডেলসম্যান

মিস ইসরায়েল এডার গান্ডেলসম্যানও তার বাইরে নন, আর সে কারণেই মিস ইরাকের সাথে দেখা হলেও কথা বলা নিয়ে টেনশনেই ছিলেন তিনি।

“আমি আসলে তার কাছ যেতে কিংবা কথা বলতে ভয় পাচ্ছিলাম কারণ শুরুতে ভয় পাচ্ছিলাম যে আমি তার কাছে গেলে সে কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায় এটা ভেবে”।

কিন্তু দু’দেশের বিরোধকে এক পাশে রেখে সানন্দেই কথা হলো দুজনের, যেমনটি বলছিলেন সারাহ আইডান।

“আমি বলেছিলাম ওটা কোন সমস্যা হতে পারেনা, কারণ আমরা দুজনই অ্যাম্বাসেডর অব পিস বা শান্তির দূত”।

এরপরই তারা ছবি তোলার সিদ্ধান্ত নেন একসাথে। আর এ যুগে দু’জনের ছবি তোলা মানেই তো সেলফি। মিস ইসরাইল বলছেন ততক্ষণে তাদের মধ্যে সম্পর্কটা বন্ধুত্বেই পরিণত হয়েছিলো।

“আমরা বন্ধু হয়ে গিয়েছিলাম এবং আমরা চেয়েছিলাম সবাই সেটি দেখুক।

এরপরই তারা সেলফিটি তোলেন।

Image caption এই সেলফিটি প্রকাশ করা হয়েছিলো

এর অন্তত ছ’মাস পরে ইসরাইলপন্থী একটি সংস্থা ‘দ্যা আমেরিকান জুইশ কমিটি’র আমন্ত্রণে মিস ইরাক সারাহ যান ইসরায়েলে। সেখানে আবারো দু’বন্ধুর মধ্যে সাক্ষাৎ হয়।

সেখানেও গিয়ে তার মনে হয়েছে ইসরায়েলের মানুষেরা তো তাদেরই মতো।

“লোকজন আমার মতো এবং অনেকে আরবিতে কথা বলে। জেরুজালেম শহর আমাকে মনে করিয়ে দেয় দামেস্কের কথা। আমি তো সিরিয়ায় অনেকদিন বাস করেছিলাম। তাই সবকিছুই পরিচিত মনে হচ্ছিলো। আমার নিজের মাটির মতোই”।

কিন্তু সবকিছু এতো সহজ ছিলোনা।

ইনসটাগ্রামে প্রকাশ হওয়া সেলফির জের ধরে শেষ পর্যন্ত নিজের দেশই ছাড়তে হয় সারাহ আইডান ও তার পরিবারের সদস্যদের।

বিবিসি বাংলায় আরও পড়তে পারেন:

এক ব্রিটিশ কিশোরীর জঙ্গি হওয়ার গল্প

পদার্থবিজ্ঞানী আইনস্টাইন কি বর্ণবাদী ছিলেন

ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৮: সর্বকালের সেরা আট দল কোনগুলো?

Source from: http://www.bbc.com/bengali/news-44486465

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

যাত্রাবাড়ীতে ১৫১ বোতল বিদেশি মদ ও ট্রাকসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি-রমনা

স্থানীয় প্রতিনিধি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১৫১ বোতল বিদেশি মদ ও মদ পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাকসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার...

ডিসি হিলে ঐতিহ্যবাহী নববর্ষের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিকালে হামলা এবং ভাঙচুর,নববর্ষের অনুষ্ঠান বাতিল

স্থানীয় প্রতিনিধি চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার ডিসি হিলে ঐতিহ্যবাহী নববর্ষের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিকালে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় আগামীকালকের নববর্ষের অনুষ্ঠান...

অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত

সময় ডেস্ক  মিস আর্থ বাংলাদেশ ২০২০-এর বিজয়ী অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার...

কে এই আশিক চৌধুরী

সময় ডেস্ক  পাইলট পরিবারের সন্তান আশিক চৌধুরী। পেশায় ব্যাংকার হলেও রপ্ত করেছেন বিমান চালানো। অন্তত অর্ধশত বার ঝাঁপ দেন...