মুজফফরনগর দাঙ্গার শিকার বহু পরিবার এখনো এরকম ক্যাম্পে বাস করছে
ভারতে ২০১৩ সালে উত্তর প্রদেশের মুজফ্ফরনগরে যে দাঙ্গা হয়েছিল – তাতে ঘরবাড়ি হারানো ১৯০টিরও বেশি পরিবার এখনো কোন ক্ষতিপূরণ পায় নি, বলছে মানবাধিকার সংগঠন এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনা্ল।
এক রিপোর্টে বলা হয়, লোকজনকে যাতে ক্ষতিপূরণ দিতে না হয় সে জন্য কর্তৃপক্ষ এমন সব মানদন্ড ব্যবহার করেছে যারা একটির সাথে আরেকটার কোন সংগতি নেই।
মুজফফরনগরে সেপ্টেম্বর মাসেও ওই হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময় ৬০ জনেরও বেশি নিহত হয়, বাস্তুচ্যুত হয় ৫০ হাজারেরও বেশি লোক।
এসব পরিবারের অনেকগুলোই এখনো অস্থায়ী শিবিরে বাস করছে, যাতে বিদ্যুত ও পানির ব্যাপক অভাব রয়েছে।
একজন মহিলাকে নিপীড়নের প্রতিবাদকারী তিন ব্যক্তিকে হত্যার এক ঘটনা থেকে ওই দাঙ্গার শুরু হয়েছিল – যা কয়েকটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতে গত এক দশকের মধ্যে এত গুরুতর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় নি।
এর পর রাজ্য সরকার ন’টি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ৫ লাখ রূপি করে দেবার কথা ঘোষণা করে। সরকারি দলিল অনুযায়ী ১,৮০০ পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।
তবে এ্যামনেস্টির রিপোর্ট বলছে, অনেক পরিবারই ক্ষতিপূরণ পায় নি, কারণ কর্তৃপক্ষ তাদেরকে একটি বৃহৎ পরিবারের অংশ বলে দাবি করে – যারা ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণ পেয়েছে।
আবার অনেক পরিবার আলাদা বাড়িতে থাকলেও তারা ক্ষতিপূরণ পায় নি।
তবে রাজ্য সরকার এ্যামনেস্টির রিপোর্টের ব্যাপারে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, সব রকম নিয়মকানুন মেনেই ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে।