রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে কাজ করবে ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীদের উদ্ধারকারী একটি দল

Date:

Share post:

দ্য মাইগ্র্যান্ট ফশোর এইড এতদিন লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইরোপে পাড়ি দেয়া অভিবাসীদের উদ্ধারে কাজ করেছে।

মিয়ানমারের সেনা অভিযান থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসছে ভূমধ্যসাগরে কাজ করা একটি উদ্ধারকারী দল।

এতদিন তারা মূলত লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পাড়ি দেয়া অভিবাসীদের বাঁচাতে কাজ করে এসেছে।

দ্য ফিনিক্স নামের উদ্ধারকারী জাহাজের মাধ্যমে এতদিন সংস্থাটি অন্তত ৪০ হাজার অভিবাসীকে সাগর থেকে উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে।

সংগঠনটির নাম ‘দ্য মাইগ্র্যান্ট অফশোর এইড স্টেশন’, যারা ২০১৪ থেকে ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে অভিবাসীদের উদ্ধারের কাজ করে আসছে, এবার তারা তাদের কাজের স্থান পরিবর্তন করতে চলেছে।

মাল্টা থেকে সংস্থাটি তাদের উদ্ধারকারী জাহাজকে পাঠাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। উদ্দেশ্য মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের বাঁচানো।

গত মাস থেকে আবারো মিয়ানমার সরকার রাখাইন প্রদে রোহিঙ্গা মুসলিম গোষ্ঠীর ওপর সেনা অভিযান শুরু করে।

তার পরপরই পর গত দশদিনে জাতিসংঘের হিসেবে ৯০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

এমন পরিসংখ্যানই সংগঠনটিকে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে এনেছে বলে জানানো হয়।

সংগঠনটির প থেকে বলা হচ্ছে, তাদের উদ্ধারকারী জাহাজটির প্রায় তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগবে মিয়ানমারের কাছে পৌছতে।

আর সেখান গিয়ে তারা রোহিঙ্গা গোষ্ঠীকে যতদূর সম্ভব মানবিক সহায়তা ও প্রয়োজনীয় সাহায্য দিতে চায়।

একইসাথে তাদের জন্যে অঞ্চলটিতে স্বচ্ছতা, সমর্থন ও দিহিতার একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরিতেও কা রাখতে চায়।

এদিকে, রোহিঙ্গা সংকটে দেশটির নেত্রী অং সান সু চি-র ভূমিকার সমালোচনা করেছেন মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লি।

তিনি বলেছেন, “মিয়ানমারের নেত্রীকে অবশ্যই ্ষেপ নিতে হবে। আমরা যে কোনো দেশের সরকারের কাছ থেকেই আশা করি যে তারা তাদের নিজের এলাকার সবাইকেই রক্ষা করবে। যদিও সু চি একটি কঠিন অবস্থানের মাঝে আছেন, তবু আমার মনে হয় তার এখন সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে।”

জাতিসংঘের এই দূত জানান যে, গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে এবারের হামলা আরো অনেক ব্যাপক।

মিয়ানমার সরকারের ভূমিকা সমালোচিত হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই।

ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় রবিবার মিয়ানমার দূতাবাসের সামনে একটি পেট্রোল বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

চেচনিয়ায় হাজারো ষ একটি প্রতিবাদী র‍্যালিতে অংশ নিয়েছে।

রাশিয়ার একটি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে যে, দেশটির মিয়ানমার দূতাবাসের সামনে থেকে ১৭জনকে নিয়ম লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আর, কাজাখস্থান মিয়ানমারের সাথে একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ করেছে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

ইরানে হামলায় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিও জড়িত: রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত

যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলি আক্রমণকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছিল। তাই তাদের...

ইউক্রেনে বড় ধরনের হামলা করল রাশিয়া

ইউক্রেনে বেশ বড় ধরনের ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ২০২২ সালে আগ্রাসন শুরুর পর এটাই ছিল রাশিয়ার সবচেয়ে বড়...

ইরানের ওপর আবারও আঘাত হানল যুক্তরাষ্ট্র!

টানা ১২ দিনের তীব্র সংঘাত শেষে এই মূহুর্তে যুদ্ধবিরতি চলছে ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে। এই সংঘাতের শেষ দিকে ইসরায়েলের পক্ষ...

আফগান সীমান্তে ‘ভারত-সমর্থিত’ ৩০ সন্ত্রাসীকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের

আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী গোলযোগপূর্ণ খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে কমপক্ষে ৩০ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। দেশটির সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা এক...