এবার লোমহর্ষক এক জন ভয়ঙ্কর কিলার অমিত মুহুরী।

Date:

Share post:

এবার লোমহর্ষক এক খুনের ঘটনার কারিগর হিসেবে নাম উঠে আসল যুবলীগ ক্যাডার অমিত মুহুরীর। নগরীতেই নারকীয় কায়দায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়। ভয়ঙ্কর এ খুনের ঘটনার তথ্য উদঘাটন করেছে নগর পুলিশ। নিজের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক আছে, এমন সন্দেহের কারণে অমিত কয়েকজন অনুসারী সন্ত্রাসী নিয়ে খুন করে তার বন্ধুকে। খুনের পর বন্ধুর মরদেহ ড্রামে ঢুকিয়ে এসিড দিয়ে গলানোর চেষ্টা করে। সেটা সম্ভব না হওয়ায় মরদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলার চেষ্টা করে। সেটাও সম্ভব না হওয়ায় মরদেহ ড্রামে ভরে সিমেন্ট ও বালু দিয়ে ঢালাই করে রাতের আঁধারে ফেলে দেওয়া হয় এনায়েত বাজার রানীর দীঘিতে। ঠিক খুলনার ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী এরশাদ সিকদারের মতো। এদিকে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে শিউরে উঠেছেন খোদ পুলিশ কর্মকর্তারাও। পুলিশ অমিত মুহুরীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে খুনের সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করে তাদের কাছে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বিবরণ পেয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১৩ আগস্ট নগরীর কোতোয়ালী থানার এনায়েতবাজারে রাণীর দিঘী থেকে ড্রামভর্তি একটি প্রায় গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বুধবার রাতে ইমাম হোসেন মজুমদার প্রকাশ শিশির (২৭) এবং শফিকুর রহমান শফি (৪৬) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অমিতকেও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) জাহাঙ্গীর আলম জানান, মানুষ যে এত নির্মম হতে পারে, কেউ কাউকে যে এত নৃশংস পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে খুন করতে পারে, সেটা এ ঘটনায় দেখা গেল। অমিত মুহুরী একজন ভয়ঙ্কর কিলার। অতীতেও সে অনেক খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে এই খুনের ঘটনায় সম্ভবত তার নৃশংসতা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। অমিতের সঙ্গে হত্যাকান্ডে কতজন ছিল, এই বিষয়ে পুরোপুরি তথ্য এখনো পাইনি। তবে অমিতকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নৃশংস খুনের শিকার অমিতের বন্ধুর নাম ইমরানুল করিম ইমন (২৫)। তিনি রাউজান পৌরসভার জনৈক রেজাউল করিমের ছেলে। হত্যাকান্ড ঘটেছে নগরীর কোতয়ালী থানার নন্দনকাননের তিন নম্বর গলিতে হরিশ দত্ত লেইনে বেঙ্গল হোল্ডিংয়ের ষষ্ঠ তলায় অমিতের বাসায়। হত্যাকান্ডের বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, বন্ধু হিসেবে ইমন প্রায়ই অমিতের বাসায় আসতো। বিভিন্ন সময় সে অমিতের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতো। এতে অমিত সন্দেহ করে যে তার স্ত্রীর সঙ্গে ইমনের অবৈধ সম্পর্ক আছে। অমিত ইমনকে খুনের পরিকল্পনা করে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে অমিতের স্ত্রীও এই পরিকল্পনায় যুক্ত হয়।

গ্রেফতার হওয়া দুজনের দেয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ৮ আগস্ট রাতে ইমনকে নিজের বাসায় ডেকে নেয় অমিত। প্রথমে ইমনকে কিছুই বুঝতে দেয়া হয়নি। অমিত ও তার স্ত্রী দুজনই ভালো আচরণ করে। এসময় অমিত নন্দনকানন এলাকায় তার অনুসারী ৪–৫ জন সন্ত্রাসীকে বাসায় ডেকে নেয়। বাসায় ডেকে নেয়া সন্ত্রাসীদের অমিত বলেন, তোমাদের কোন বোনের প্রতি যদি তোমাদের কোন বন্ধু খারাপ নজর দেয়, তাহলে তাকে তোমরা কি করবে? কয়েকজন বলেন, খুন করে ফেলব। অমিত বলেন, তাহলে তোমরা ইমনকে নিয়ে বাথরশুমে যাও। বাথরশুমে ইমনকে নিয়ে ৯ আগস্ট ভোর ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ১২ আগস্ট পর্যন্ত মরদেহ রাখা হয় ওই বাথরুমেই। প্রথমে দুইজনকে পাঠিয়ে স্টিলের ড্রাম, এসিড ও চুন কিনে আনা হয়। ড্রামের ভেতরে মরদেহ রেখে এসিড ও চুন ঢেলে সেটা গলিয়ে হাড়গোড় নদীতে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু একদিন পরও মরদেহ অবিকৃত থেকে গেলে সেই পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়। এবার অমিত শাহেদ নামে তার অনুসারী এক সন্ত্রাসীকে ডেকে এনে দায়িত্ব দেয় মরদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলার। কিন্তু মরদেহ শক্ত হয়ে যাওয়ায় অমিতের সেই পরিকল্পনাও ব্যর্থ হয়। এরপর দুজনকে দিয়ে বালু ও সিমেন্ট কিনে আনা হয়। মরদেহ ড্রামে ভরে ঢাকনা সিমেন্ট ও বালু দিয়ে ঢালাই করে দেওয়া হয়।

পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, লাশভর্তি ড্রামটি ট্রাকে তুলে নদীতে নিয়ে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু ট্রাকে তোলার সময় মানুষ জেনে যাবে, এই আশংকায় সেই পরিকল্পনা বাদ দিয়ে ১০–১২ জন দিনমজুর ও ভ্যান ডেকে আনা হয়। ১২ আগস্ট রাত আড়াইটার দিকে ভ্যানে করে মরদেহ নিয়ে হত্যাকান্ড স্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে এনায়েতবাজারের রাণীর দীঘিতে ফেলে দেওয়া হয়।

এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হত্যাকান্ডের পর অমিত মুহুরী নন্দনকানন এলাকায় তার আশ্রয়দাতা একজন বিতর্কিত রাজনৈতিক নেতার কাছে বিষয়টি প্রকাশ করেন। ওই নেতা তাদের পালিয়ে যাবার কথা বলেন। হত্যাকান্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের সবার মোবাইল নম্বর অমিত বন্ধ করে দিতে বাধ্য করেন।

এদিকে থানা পুলিশ জানায়, মরদেহভর্তি ড্রাম ফেলার সময় তিনজন দেখে ফেলেন। তারা সাক্ষী হিসেবে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে গভীর রাতে কিভাবে মরদেহভর্তি ড্রামটি দিঘীতে ফেলা হয় তার বর্ণনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা থেকে হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত শিশির এবং শফিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, ভয়ংকর সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ২০১৩ সালে সিআরবিতে রেলওয়ের টেন্ডার নিয়ে জোড়া খুনের মামলার আসামি অমিত মুহুরীকে ২০১৫ সালের ৫ নভেম্বর নগর গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। পরে অমিত জামিনে বেরিয়ে আসে।চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন নগরীর ডিসি হিলে পুলিশের উপর হামলা চালায় অমিত মুহুরী ও তার অনুসারী সন্ত্রাসীরা।

এরপর গত ২৮ এপ্রিল রাতে ঝাউতলায় স্থানীয় কিশোর–তরুণদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর এক পর্যায়ে তারা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। সেখানে অমিত মুহুরীর অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করার চিত্র ভিডিও ফুটেজে পেয়ে ২৫ মে তাকে গ্রেফতার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ। কিন্তু ২৬ জুন অমিত জামিনে বেরিয়ে আসেন।

জামিনে বেরিয়ে অমিত আরেকটি নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটাল। সিআরবির জোড়া খুনসহ অমিতের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় আটটি মামলা আছে। রাউজানেও অমিতের বিরশুদ্ধে খুনের মামলা আছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ওসি জসিম উদ্দিন।

এদিকে অমিতসহ অন্যান্য আসামিদেরকে ধরার জন্য পুলিশী অভিযান চলছে বলে জানান ওসি জসিম উদ্দিন। আর বাংলাদেশের সীমান্ত পাড়ি দেয়া ঠেকাতে সংশিহ্মষ্ট পয়েন্টেও এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে আইন শৃংখলা বাহিনীর তরফে। তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা তানজিরুল হককে গুলি করার অভিযোগে তার বিরশুদ্ধে মামলা আছে। নগরীতেই নারকীয় কায়দায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়। ভয়ঙ্কর এ খুনের ঘটনার তথ্য উদঘাটন করেছে নগর পুলিশ। নিজের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক আছে,এমন সন্দেহের কারণে অমিত কয়েকজন অনুসারী সন্ত্রাসী নিয়ে খুন করে তার বন্ধুকে। খুনের পর বন্ধুর মরদেহ ড্রামে ঢুকিয়ে এসিড দিয়ে গলানোর চেষ্টা করে। সেটা সম্ভব না হওয়ায় মরদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলার চেষ্টা করে। সেটাও সম্ভব না হওয়ায় মরদেহ ড্রামে ভরে সিমেন্ট ও বালু দিয়ে ঢালাই করে রাতের আঁধারে ফেলে দেওয়া হয় এনায়েত বাজার রানীর দীঘিতে। ঠিক খুলনার ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী এরশাদ সিকদারের মতো। এদিকে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে শিউরে উঠেছেন খোদ পুলিশ কর্মকর্তারাও। পুলিশ অমিত মুহুরীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে খুনের সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করে তাদের কাছে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বিবরণ পেয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১৩ আগস্ট নগরীর কোতোয়ালী থানার এনায়েতবাজারে রাণীর দিঘী থেকে ড্রামভর্তি একটি প্রায় গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বুধবার রাতে ইমাম হোসেন মজুমদার প্রকাশ শিশির (২৭) এবং শফিকুর রহমান শফি (৪৬) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অমিতকেও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ বিষয়ে গ্রেপ্তার অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) জাহাঙ্গীর আলম জানান, মানুষ যে এত নির্মম হতে পারে, কেউ কাউকে যে এত নৃশংস পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে খুন করতে পারে, সেটা এ ঘটনায় দেখা গেল। অমিত মুহুরী একজন ভয়ঙ্কর কিলার। অতীতেও সে অনেক খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে এই খুনের ঘটনায় সম্ভবত তার নৃশংসতা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। অমিতের সঙ্গে হত্যাকান্ডে কতজন ছিল, এই বিষয়ে পুরোপুরি তথ্য এখনো পাইনি। তবে অমিতকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নৃশংস খুনের শিকার অমিতের বন্ধুর নাম ইমরানুল করিম ইমন (২৫)। তিনি রাউজান পৌরসভার জনৈক রেজাউল করিমের ছেলে। হত্যাকান্ড ঘটেছে নগরীর কোতয়ালী থানার নন্দনকাননের তিন নম্বর গলিতে হরিশ দত্ত লেইনে বেঙ্গল হোল্ডিংয়ের ষষ্ঠ তলায় অমিতের বাসায়। হত্যাকান্ডের বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, বন্ধু হিসেবে ইমন প্রায়ই অমিতের বাসায় আসতো। বিভিন্ন সময় সে অমিতের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতো। এতে অমিত সন্দেহ করে যে তার স্ত্রীর সঙ্গে ইমনের অবৈধ সম্পর্ক আছে। অমিত ইমনকে খুনের পরিকল্পনা করে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণে অমিতের স্ত্রীও এই পরিকল্পনায় যুক্ত হয়।

গ্রেফতার হওয়া দুজনের দেয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ৮ আগস্ট রাতে ইমনকে নিজের বাসায় ডেকে নেয় অমিত। প্রথমে ইমনকে কিছুই বুঝতে দেয়া হয়নি। অমিত ও তার স্ত্রী দুজনই ভালো আচরণ করে। এসময় অমিত নন্দনকানন এলাকায় তার অনুসারী ৪–৫ জন সন্ত্রাসীকে বাসায় ডেকে নেয়। বাসায় ডেকে নেয়া সন্ত্রাসীদের অমিত বলেন, তোমাদের কোন বোনের প্রতি যদি তোমাদের কোন বন্ধু খারাপ নজর দেয়, তাহলে তাকে তোমরা কি করবে? কয়েকজন বলেন, খুন করে ফেলব। অমিত বলেন, তাহলে তোমরা ইমনকে নিয়ে বার্থরুমে যাও। বার্থরুমে ইমনকে নিয়ে ৯ আগস্ট ভোর ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ১২ আগস্ট পর্যন্ত মরদেহ রাখা হয় ওই বাথরুমেই। প্রথমে দুইজনকে পাঠিয়ে স্টিলের ড্রাম, এসিড ও চুন কিনে আনা হয়। ড্রামের ভেতরে মরদেহ রেখে এসিড ও চুন ঢেলে সেটা গলিয়ে হাড়গোড় নদীতে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু একদিন পরও মরদেহ অবিকৃত থেকে গেলে সেই পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়। এবার অমিত শাহেদ নামে তার অনুসারী এক সন্ত্রাসীকে ডেকে এনে দায়িত্ব দেয় মরদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলার। কিন্তু মরদেহ শক্ত হয়ে যাওয়ায় অমিতের সেই পরিকল্পনাও ব্যর্থ হয়। এরপর দুজনকে দিয়ে বালু ও সিমেন্ট কিনে আনা হয়। মরদেহ ড্রামে ভরে ঢাকনা সিমেন্ট ও বালু দিয়ে ঢালাই করে দেওয়া হয়।

পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, লাশভর্তি ড্রামটি ট্রাকে তুলে নদীতে নিয়ে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু ট্রাকে তোলার সময় মানুষ জেনে যাবে, এই আশংকায় সেই পরিকল্পনা বাদ দিয়ে ১০–১২ জন দিনমজুর ও ভ্যান ডেকে আনা হয়। ১২ আগস্ট রাত আড়াইটার দিকে ভ্যানে করে মরদেহ নিয়ে হত্যাকান্ড স্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে এনায়েতবাজারের রাণীর দীঘিতে ফেলে দেওয়া হয়।

এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হত্যাকান্ডের পর অমিত মুহুরী নন্দনকানন এলাকায় তার আশ্রয়দাতা একজন বিতর্কিত রাজনৈতিক নেতার কাছে বিষয়টি প্রকাশ করেন। ওই নেতা তাদের পালিয়ে যাবার কথা বলেন। হত্যাকান্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের সবার মোবাইল নম্বর অমিত বন্ধ করে দিতে বাধ্য করেন।

এদিকে থানা পুলিশ জানায়, মরদেহভর্তি ড্রাম ফেলার সময় তিনজন দেখে ফেলেন। তারা সাক্ষী হিসেবে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে গভীর রাতে কিভাবে মরদেহভর্তি ড্রামটি দিঘীতে ফেলা হয় তার বর্ণনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা থেকে হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত শিশির এবং শফিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, ভয়ংকর সন্ত্রাসী অমিত মুহুরী যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ২০১৩ সালে সিআরবিতে রেলওয়ের টেন্ডার নিয়ে জোড়া খুনের মামলার আসামি অমিত মুহুরীকে ২০১৫ সালের ৫ নভেম্বর নগর গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। পরে অমিত জামিনে বেরিয়ে আসে।চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন নগরীর ডিসি হিলে পুলিশের উপর হামলা চালায় অমিত মুহুরী ও তার অনুসারী সন্ত্রাসীরা।

এরপর গত ২৮ এপ্রিল রাতে ঝাউতলায় স্থানীয় কিশোর–তরুণদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর এক পর্যায়ে তারা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। সেখানে অমিত মুহুরীর অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করার চিত্র ভিডিও ফুটেজে পেয়ে ২৫ মে তাকে গ্রেফতার করে কোতয়ালী থানা পুলিশ। কিন্তু ২৬ জুন অমিত জামিনে বেরিয়ে আসেন।

জামিনে বেরিয়ে অমিত আরেকটি নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটাল। সিআরবির জোড়া খুনসহ অমিতের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় আটটি মামলা আছে। রাউজানেও অমিতের বিরশুদ্ধে খুনের মামলা আছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী থানার ওসি জসিম উদ্দিন।

এদিকে অমিতসহ অন্যান্য আসামিদেরকে ধরার জন্য পুলিশী অভিযান চলছে বলে জানান ওসি জসিম উদ্দিন। আর বাংলাদেশের সীমান্ত পাড়ি দেয়া ঠেকাতে সংশিহ্মষ্ট পয়েন্টেও এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে আইন শৃংখলা বাহিনীর তরফে। তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা তানজিরুল হককে গুলি করার অভিযোগে তার বিরশুদ্ধে মামলা আছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

আবারো এস আলমে আগুন 

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকায় এস আলম গ্রুপের চিনির গুদামের পর এবার তেলের মিলে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের...

জিম্মি নাবিকদের উদ্ধার চেষ্টার সময় গুলি বিনিময়

সময় ডেস্ক সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে অন্য একটি জাহাজ। দুই...

শেষ ম্যাচে ভুটানকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ

সময় স্পোর্টস ডেস্ক সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিলো বাংলাদেশের মেয়েরা। ১০ মার্চ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে মাঠে...

নারী দিবসে নারী কর্মীদের সম্মান জানিয়ে এবারই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করছেন নারী কর্মীরা

সময় ডেস্ক আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছেন নারীরা। রাজধানীর শাহজালাল...