রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ঝরছে। কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি, কোথাও বা ভারী বৃষ্টি। অনেক এলাকাতেই জমেছে পানি। বেড়েছে ভোগান্তি। তবে কমেছে তাপমাত্রা। এমন বৃষ্টি আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাস এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফেনীতে সর্বোচ্চ ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। দেশের অনেক এলাকাতেই জলাবদ্ধতাতে বেড়েছে ভোগান্তি।
পূর্বাভাস বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবের দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে সক্রিয় ও অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সারা দেশের দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পাঁচ দিনের মাথায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে নীলফামারীর ডিমলাতে ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি। এ সময়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারে ১৫৫ মিলিমিটার।
ফেনীতে ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত
ফেনীতে সোমবার সন্ধ্যা থেকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টির কারণে শহারের অধিকাংশ রাস্তাই হাঁটু পানির নিচে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ফেনীবাসী। ফেনী আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় টানা দুইদিন ধরে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ। আগামী ২-৩ দিন জেলাজুড়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফেনী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মজিবুর রহমান বলেন, এ বৃষ্টিপাত আগামী দুইদিন থাকতে পারে। টানা বৃষ্টির কারণ সীমান্তবর্তী মুহুরী, কহুয়া সিলোনিয়া নদীর পানি বাড়ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিক কহুয়া নদীর বাঁধের ওপর দিয়ে পানি লোকালয়ে ঢুকছে। তবে এখনও তা বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।