দেখা করার কথা বলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্কুলছাত্রীকে উত্তরখান হেলাল মার্কেট এলাকায় ডেকে নিয়ে যান অপু নামে এক তরুণ। মার্কেটের সামনে যাওয়া মাত্রই কিশোরীকে স্থানীয় পাঁচ বখাটে একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যান।
পরে সেখানে জোর করে মেয়েটিকে ইয়াবা সেবন করানো হয়। এরপর পালাক্রমে পাঁচজন ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এখানেই শেষ নয়, ধর্ষকরা গভীররাতে ওই ভবন থেকে মেয়েটিকে বের করে দেন।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম লস্কর সোহেল রানার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব কথা উল্লেখ করেন গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত পাঁচ আসামি।
৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর উত্তরখান হেলাল মার্কেট এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করেন তারা।
মেয়েটিকে রাতে ভবন থেকে বের করে দেয়ার পর পুলিশের একটি টহল দল তাকে উদ্ধার করে। পরদিন মেয়েটির মা বাদী হয়ে উত্তরখান থানায় গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ১০ আগস্ট রাতেই ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক জাহাঙ্গীর আলম, শেখ নাঈম হোসেন অনু, আবুল কালাম, আহাদুল ইসলাম আহাদ, ও অপু সরকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন সময় নিউজকে জানান, আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, স্কুলে যাতাযাতের সময় প্রায়ই তার মেয়েকে অপু, অনু ও জাহাঙ্গীর উত্ত্যক্ত করতেন। একদিন জোর করে তারা তার মোবাইল ফোন নম্বর নেন। এরপর প্রায়ই তারা তাকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বিরক্ত করতেন। বুধবার রাতে তার মেয়েকে ফোন করে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন তারা।
এদিকে, উত্তরখান এলাকার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম ওই এলাকার একজন ইয়াবা বিক্রেতা। অনু ও অপু দুইজনই ইয়াবা সেবন করেন। তারা পড়াশোনা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছেন। ইয়াবা সেবনের পাশাপশি বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও লিপ্ত তারা। এলাকার প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে পারেনা বলেও জানায় স্থানীয়রা।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে একাধিকবার তিনি রূপগঞ্জ ও উত্তরা থানায় মাদকসহ আটক হয়েছিলেন।
উত্তরখানে নবম শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষণ।
Date:
Share post: