নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বাসনা মল্লিককে (৫০) দলবদ্ধ ধর্ষণের পর মুখে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় মরদেহ যশোর থেকে বাড়িতে আনা হয়।
বাসনা মল্লিকের বাড়ি মাইজপাড়া ইউনিয়নের পোড়াডাঙ্গা গ্রামের নেপাল মল্লিকের স্ত্রী। তিনি ওই ইউপির সংরক্ষিত ১, ২, ৩ ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য ছিলেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলো একই ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের ফারুক, চঞ্চল, শিমুলসহ কয়েকজন। তবে ঘটনার পর পলাতক থাকায় তাদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নিহতের স্বজনদের দাবি, মঙ্গলবার টিসিবির মালামাল বিতরণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় তিন-চার বখাটে মিলে বাসনাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বিষয়টি প্রকাশ করে দেবে জানালে তাঁর মুখে বিষ ঢেলে দেয় দুর্বৃত্তরা। বাড়িতে ফিরে কয়েকবার বমিসহ অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার সকালে তাঁকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তিনি ছেলে রিংকু মল্লিকের কাছে তাঁর ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন।
মাইজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সফুরা খাতুন বেলি বলেন, ‘বাসনা একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
নড়াইল সদর থানার ওসি মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের পাশাপাশি দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।