এবার বরিশাল সদর হাসপাতালের অর্থ সার্জারি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেস্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে এক রোগী।

    0
    246

    সারাদেশে যেন ধর্ষণের মহোৎসব চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় একবার বরিশাল সদর হাসপাতালের অর্থ সার্জারি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেস্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছে এক রোগী। রবিবার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইবুনালে মোসা.শাকিলা খানম(রিয়া) নামের এক রোগী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক শেখ আবু তাহের মামলাটি আমলে নিয়ে জুডিশিয়াল তদন্তের নির্দেশ দেন।
    মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৯ জুলাই বরিশাল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেবার জন্য আসেন গৌরনদী উপজেলার উত্তর বিজয়পুর এলাকার এইচ এম মাকসুদ আলীর স্ত্রী মোসা.শাকিলা খানম(রিয়া)। বহিঃর্বিভাগে টিকিট কেটে তিনি অর্থ সার্জারি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মো. শফিকুল ইসলামকে দেখান। ডা. শফিকুল ইসলাম তাকে দেখে বুকে টিউমার হয়েছে এমনটি বলে ব্যাক্তিগত চেম্বার সদর রোডের মোকলেছুর রহমান ক্লিনিকে সাক্ষাৎ করতে বলেন। চিকিৎসকের কথা অনুসারে তিনি ওইদিন তার(ডা. শফিকুলের) ব্যক্তিগত চেম্বারে যান।
    তখন ওই চিকিৎসক তাকে বেডে সুইয়ে বুকে টিউমার দেখার কথা বলে শ্লীলতাহানি করে। এরপর তাকে পরবর্তী ৩১ জুলাই চেম্বারে দেখা করতে বলেন। চিকিৎসকের কথা অনুসারে ওইদিন তিনি দুপুর ৩টায় মোকলেছুর রহমান ক্লিনিকে আসেন। তখন তার স্বামী ও নিকটস্থ কিছু স্বজন তার সাথে ছিলো। তাদের বাইরে রেখে তিনি চেম্বারে প্রবেশ করেন। এসময় ডা. শফিকুল ইসলাম পুনরায় টিউমার দেখার কথা বলে তার শ্লীলতাহানি করে। এরপর তাকে ধর্ষন চেষ্টা করে। পরে তার ডাক-চিৎকারে স্বামী মাকসুদ আলী ও স্বজনরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
    তবে মোকলেছুর রহমান ক্লিনিকের পরিচালক মশিউর রহমান ঝান্ডা বলেন, ডা. মো. শফিকুল ইসলামের চেম্বার মোকলেছুর রহমান ক্লিনিকের প্রবেশদ্বারের একটি কক্ষে। সেখানে বসে তিনি কক্ষের দরজা উন্মুক্ত রেখেই সবসময় রোগী দেখেন। আর ওই অবস্থায় কোন রোগিকে ধর্ষণ করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। আর তিনি(ওই রোগী) ৯ জুলাই চিকিৎসা নিয়ে গিয়ে কোন অভিযোগ করেননি। এরপর ৩১ জুলাই তার স্বামীসহ কিছু লোক নিয়ে এসে হঠাৎ অভিযোগ করেন ওই চিকিৎসক তাকে ধর্ষণ চেষ্টা করেছেন। তার দীর্ঘদিন পর গতকাল ওই রোগী মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি অবশ্যই সন্দেহজনক।

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here