রায়হান রাফিকে একহাতে নিলেন দীঘির বাবা

0
112

নিউজ ডেস্ক:
রায়হান রাফিকে একহাতে নিলেন ীঘির বাবা সম্প্রতি ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘির একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস বেশ আলোচনার সৃষ্টি করে। যেখানে দীঘি জানান, সিন্ডিকেটের লায় অসুস্থ হয়ে হয়ে পড়েছেন তিনি। গণমাধ্যমের কাছে এই নায়িকার অভিযোগ, তার সঙ্গে চূড়ান্ত কথা বলেও পরে না অন্যজনকে সিনেমায় নিয়েছেন এক পরিচালক। যদিও সেই পরিচালকের নাম বলেননি তিনি।

এ ঘটনার পরপরই মিডিয়াপাড়ায় বিভিন্ন আলোচনা থেকে জানা যায়, নির্মাতা রায়হান রাফিকে নিয়েই অভিযোগ তুলেছেন দীঘি। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন রাফি নিজেও। দীঘিকে টিকটক না করে অভিনয়ে মনযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে জানিয়েছেন তার নির্মিতব্য ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার জন্য দীঘি নিজ থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন।

এ প্রসঙ্গে রাফী বলেন,‘একটি চরিত্রের জন্য একাধিক জনের সঙ্গে কথা হতে পারে, চূড়ান্ত একজন হবে এবং তার সঙ্গে লিখিত চুক্তি হবে। দীঘির সঙ্গে তো আমার কোনো লিখিত চুক্তি হয়নি। সে কাজ করতে চেয়েছে, অফিসে নিজের ইচ্ছাতেই এসেছে। দীঘি বলেছে আমি তাকে বাদ দিয়েছি, তাকে আমার চরিত্রের জন্য উপক্ত মনে হয়নি, ফলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করিনি।’

দীঘিকে পরামর্শ দিয়ে রাফি বলেন, ‘তার উচিত টিকটক বাদ দিয়ে অভিনয়ে মনোযোগী হওয়া। ফিটনেসের দিকে মনোযোগী হওয়া। সে শুধু আমার সিনেমা থেকে বাদ হয়েছে এমনটা না, অন্যরা কেন তাকে সিনেমা থেকে বাদ দিল? নিশ্চয়ই তার ঘাটতি আছে।’

দীঘিকে নিয়ে পরিচালক রায়হান রাফির এমন মন্তব্য মোটেও ভালোভাবে নেননি নায়িকার বাবা অভিনেতা শাহখ ফারদিন সুব্রত। এ বিষয়ে সময় নিউজ প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

দীঘির সঙ্গে রাফির সিনেমার আলাপের বিষয়ে আপনি জানতেন?

সুব্রত: পরিচালক রায়হান রাফি দীঘিকে তার অফিসে ডেকেছিলো। আমার শুটিং থাকায় মামার সাথে দীঘি তার অফিসে যায়। সেখানে যাওয়ার পর সিনেমার স্ক্রিপ্ট তাকে জানানো হয়েছিলো এবং বলেছিলো আমরা এক সময় বসে সব ঠিক করে নিবো। এরপর দীঘিকে কিছু না জানিয়েই সে সিনেমার জন্য অন্য কাউকে নিয়ে নেয়। আবার েটা সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্যও করছে।

দীঘির টিকটক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রায়হান রাফি। এ বিষয়ে আপনার কোনো আপত্তি আছে কি-না?

সুব্রত: এটা আসলে সময়ের ব্যাপার। এমন না যে দীঘি অনেক বড় হয়ে গেছে বা অনেক বুদ্ধিমান। তা কিন্তু না। এখানে তারুণ্যের একটা ব্যাপার থাকে। সে কারণে সব কিছু বলে বোঝানো যাবে না। যখন বুঝবে তখন নিজে থেকেই ফিরে আসবে।

ছবি থেকে বাদ দেওয়ার অন্য কোনো কারণ আছে বলে মনে করেন কি?

সুব্রত: রাফির বিষয়ে অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। ও যেভাবে বলে আমি তো সেভাবে বলতে পারবো না। আমার চলচ্চিত্রে ৩৯ বছরের ক্যারিয়ার। রাফির কয়দিনের ক্যারিয়ার? ওর বয়স তো ৩৯ বছর হয়নি। একটা ছবি হিট করলো পরাণ এই পর্যন্তই শেষ। এরপরে একটা ছবি করলো দামাল, সেটার কোনো খবর নাই। গত মাসে ওটিটি প্লাটফর্মে ‘নিশ্বাস’ নামের একটি কাজ করলো সেটারতো খবর নাই। ও তাহলে কেন নিজেকে লিজেন্ড বা ব্র্যান্ড বলে দাবি করছে। ব্র্যান্ড এত সহজে হওয়া যায়না। এটা বুঝতে হবে।

রায়হান রাফির মন্তব্যের পর বর্তমানে দীঘির মনের কেমন?

সুব্রত: দীঘি অনেক কষ্ট পেয়েছে। মনের অবস্থা খুব খারাপ। কারণ আমি যেটা নিতে পারবো ও সেটা নিতে পারবেনা। দীঘি কেবল মাত্র স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। সেখানে একজন পরিচালকের এমন মন্তব্য অবশ্যই হতাশ র মতো।

পরিচালক রায়হান রাফির উ্দ্দেশ্য আপনার কোনো মন্তব্য?

সুব্রত: দীঘি যদি কিছু না জানতো তাহলে সে কেনো ডাকলো। দীঘি কিছু জানে বলেই সে ডেকেছে। নিজে ডেকে নিয়ে গিয়ে এখন নানা কথা বলছে। এটা কেমন কথা? তার কোনো সমস্যা থাকলে ভালোভাবে বলতো। এরকম করার কোনো মানে ছিলো না।

আমি চাই তার শুভ বুদ্ধির য় হোক। এখনো তার কিছুই হয়নি। এতেই যদি দাম্ভিকতার সৃষ্টি হয়, তাহলে ভালো কিছু করতে পারবে না। দীঘি যখন কথা বলেছে তখন সে কারও নাম বলেনি। কিন্তু রাফি নিজে থেকে এই কথাগুলো সামনে আনলো। বিষয়টা কিছুটা এরকম, ঠাকুর ঘরে কে? আমি কলা খাইনি। আমি মনে করি, আসলে সে এগুলো করেছেন আলোচনায় আসার জন্য।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here