নিউজ ডেস্ক
বগুড়ার নন্দীগ্রামের এক সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়ার ঘটনায় জিডির পর হিরো আলমকে থানায় তলব করা হয়। বুধবার বিকালে হিরো আলম নন্দীগ্রাম থানায় গিয়ে থানায় আপসের প্রস্তাব দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- থানার ওসি আনোয়ার হোসেন, পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান, নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম দয়া, থানার উপ-পরিদর্শক বিকাশ চক্রবর্ত্তী, জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা এটিএম রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম জুয়েলসহ আরো কয়েকজন।
এর আগে, `হিরো আলমকে শেষবার সতর্ক করলেন নুসরাত’গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশ করেন স্থানীয় সাংবাদিক এমদাদুল হক। সংবাদ প্রকাশের পর গত ২৭ জুলাই এমদাদুল হককে মুঠোফোনে হুমকি দেন হিরো আলম। হুমকির একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে গত ৩০ জুলাই তার বিরুদ্ধে জিডি করেন স্থানীয় সাংবাদিক এমদাদুল হক।
সাংবাদিক এমদাদুলের করা সেই জিডি তদন্তের প্রয়োজনে বুধবার বিকালে হিরো আলম বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানায় আসেন। থানায় হাজির হয়েই তিনি জিডির বিষয়ে আপসের প্রস্তাব দেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার হিরো আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিক এমদাদুল হক বলেন, হিরো আলম থানায় এসে আমাকে আপসের প্রস্তাব পাঠান। আমি তার সঙ্গে মীমাংসা করব না। আমি তার আইনগত শাস্তি চাই।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, হিরো আলমকে তদন্তের স্বার্থে থানায় ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তিনি আমার কাছে আপসের কথা বলেন। তবে অনেকেই আপসের কথা বলছিলেন। বাদী এবং বিবাদী যদি আপস করেন- সেটা ভিন্ন বিষয়।