ডেস্ক নিউজ :স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, “আমাদের দেশে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কম রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, এডিস মশাবাহিত এই রোগ মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ও সচেতনতা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সারা দেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, “এডিস বা ডেঙ্গু নিয়ে ২০১৯ সালে আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকলেও গত তিন বছর আমাদের পাশ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় আমরা এই রোগ প্রতিরোধে সফলতা অর্জন করেছি। কিন্তু আমরা আমাদের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি। বর্তমানে আবার এডিস মশার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। একই সঙ্গে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। তবে আমরা এশিয়ার অনেক দেশগুলোর তুলনায় অনেক ভালো আছি।”
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, “২০১৯ সালের পর আমরা ক্লাস্টার ভিত্তিক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেই। এরপর প্রতিটা ওয়ার্ডকে ১০ জোনে ভাগ করে কাউন্সিলরকে প্রধান করে কমিটি করে দিয়েছি। ওইসব এলাকায় কি পরিমাণ মশা নিধনের জন্য ওষুধ লাগবে তা নির্ণয় করে তা আমদানি করা বা মজুদ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
জনবল সংকট ছিল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “এই সংকট মোকাবিলায় আমরা একদিনে ৩ হাজার জনবল নিয়োগ দিয়েছি। যেখানে ফগার মেশিন ছিল না সেখানে কেনার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে টাকা দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এছাড়া মশা নিধনের প্রতিশেধক আমদানিতে সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করা হয়েছে।”
সিটি কর্পোরেশনের সাম্প্রতিক উচ্ছেদ অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “সিটি কর্পোরেশনগুলো মানুষের জন্য কল্যাণকর কাজ করে থাকে। নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করাই সিটি কর্পোরেশনের কাজ।”
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “কোনো কাজের মাধ্যমে যদি মানুষ হয়রানির শিকার হয় তা সমাধান করা মেয়রের দায়িত্ব। হকাররা হাঁটা চলার পথ এবং রাস্তার ওপরে দোকান বসায় এটা সমর্থনযোগ্য নয়। এজন্য মেয়ররা এসব বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছেন।”
সভায় দক্ষিণ সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, পূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লাহ খন্দকার, ওযাসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানসহ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন, বিভাগ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।