নিহত আবু দুজানাকে ধরার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল
ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পুলিশ বলছে, পুলওয়ামা জেলায় সরকারি সৈন্যরা লশকর-ই-তৈয়বা নামের জঙ্গী সংগঠনের একজন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডারকে হত্যা করেছে।
এক মৃখপাত্র বলছেন, নিহত ব্যক্তির নাম আবু দুজানা , এবং শ্রীনগরের দক্ষিণেএক তীব্র বন্দুকযুদ্ধের সময় তিনি তার এক সহযোগী সহ নিহত হন।
তার মৃত্যুর খবরে বিভিন্ন জায়গায় সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। আবু দুজানার ডেরা যখন নিরাপত্তা বাহিনী ঘিরে ফেলেছিল, তখন শত শত স্থানীয় মানুষ পাথর ছুঁড়তে ছুঁড়তে তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে – গুলিতে তাদের মধ্যে কয়েকজন হতাহতও হয়েছেন।
এরপর কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়।
পাকিস্তানি নাগরিক আবু দুজানা কাশ্মীরে জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার নেতৃত্বে ছিলেন এবং বহুদিন ধরেই ভারতীয় সেনা ও পুলিশ তাকে খুঁজছিল।
আবু দুজানার মাথার জন্য ইনাম ছিল ৩০ লক্ষ রুপিরও বেশি। পুলওয়ামা-সহ দক্ষিণ কাশ্মীরের বহু জায়গায় সে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছে, বলছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিফের প্রধান আর আর ভাটনগর।
তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে নিহত আবু দুজানার চরিত্রের দিকে ইঙ্গিত করে কাশ্মীর পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল মুনির খান এদিন বলেন তার মৃত্যুতে এলাকার লোকজন, বিশেষত মেয়েরা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলবে। মি. খানের কথায়, “শব্দগুলো আমি বলতে চাই না – তবে সবাই জানে আবু দুজানা এলাকায় সবার – বিশেষ করে মেয়েদের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিল।”
তবে হাকরিপুরার গ্রামবাসীরা এদিন সকালেও জঙ্গীদের সমর্থনে রাস্তায় জড়ো হয়ে অনবরত নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে গেছে।
পুলিশ-প্রধান মুনির খান জানান, “এদিনের অভিযানে ফিরদৌস খান নামে একজন বেসামরিক ব্যক্তি মারা গেছেন আরও প্রায় আট-দশজন বুলেট বা ছররায় জখম হয়েছেন।” তিনি বলেন, “আমরা বারবার জনতাকে বলছি, অভিযানের ভেতর ঢুকবেন না – কিন্তু জঙ্গীদের ভয়েই হোক বা অন্য কারণে তারা ওদের হয়ে ইঁটপাটকেল নিয়ে চলে আসছেন, আর মাঝখানে পড়ে মারা যাচ্ছেন।”
কাশ্মীর পুলিশের এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, জঙ্গীদের প্রতি সেখানকার স্থানীয় মানুষের সমর্থন এখনও অটুট – এবং সেটাই ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর বিশাল দুশ্চিন্তা হিসেবে রয়ে যাচ্ছে।