ডেস্ক নিউজ: চালক, গার্ডদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বুধবার সকাল থেকে কোথাও কোনো ট্রেন চলেনি। মাইলেজ বাতিল, বৈশাখি ভাতা না পাওয়া, সঠিক সময়ে বেতন না পাওয়ায় আন্দোলনের অংশ হিসেবে ট্রেন চালক, গার্ডরা ট্রেন না চালানোয় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার রাতে চালক ও গার্ডদের সংগঠন ট্রেন না চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে পূর্বঘোষণা ছাড়াই এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এ
চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ব্যবস্থাপক রতন কুমার চৌধুরী বলেন, সকালের দিকে আমরা কর্মসূচির বিষয়টি জানতে পারি। কোনো ট্রেনের ইঞ্জিন বের করা হয়নি। ঢাকা- চট্টগ্রাম ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের শাটল ট্রেন, নাজিরহাট ও দোহাজারী রুটের সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মাইলেজ ইস্যুতে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছে। কর্মসূচি প্রত্যাহার না হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে না। রেলওয়ের উচ্চ পর্দস্থ কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। আন্দোলন প্রত্যাহার হলে ট্রেন চলাচল শুরু করতে পারব।
আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ শ্রমিক ও কর্মচারী সমিতি (পূর্বাঞ্চল) এর আহ্বায়ক মো. মজিবুর রহমান বলেন, মাইলেজ ইস্যু নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। রেলওয়ের বেশ কয়েকটি পদ রয়েছে। এখন ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গণমাধ্যমে সংবাদ হচ্ছে। কিন্ত অন্যান্য সেক্টরে কাজ বন্ধ থাকলে সংবাদ হয়না। আমরা বাড়তি কোনো টাকা চাইনি। আমাদের বেতন কাঠামো নিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি অর্থ মন্ত্রালয়ের সচিবের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল। উনারা আমাদের কাছ থেকে সময় চেয়েছেন। কিন্তু দু মাস পর গতকাল রাতে এক চিঠিতে জানানো হলো ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ডিউটি ভাতা দেওয়া হবে না।