মেধার বিকাশের জন্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে নিজের ব্যক্তিগত চর্চা, পরিশ্রম ও সততার উপর নির্ভরশীল হওয়ার জন্য তরুণদের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। তিনি বলেন বড় বড় প্রতিষ্ঠান থেকেই শুধু মেধাবী মানুষ তৈরি হয় এমন ধারণা ঠিক নয়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও অনেক কীর্তিমান মানুষ তৈরি হয়েছেন যারা দেশের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য তরুণদের পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগের প্রবীন এই নেতা।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের ৫ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লুতে একটি কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সাবেক মন্ত্রী। চট্টগ্রাম মহানগর বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সভাপতি সভাপতি মোহাম্মদ সাজ্জাত হোসেনের সভাপতিত্বে হওয়া এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়া মোট ১৫১৭ জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধিত করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খাঁন খসরু এমপি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু অনেক ত্যাগের বিনিয়মে এই দেশ স্বাধীন করেছেন। আজ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগানোতে বেশি জোড় দিচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার। কাজেই তরুণদেরও সেই স্পৃহা আর উদ্যম নিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।’
তবে প্রধানমন্ত্রীর আশপাশে খন্দকার মোশতাকের মত প্রতারকদের আনাগোনা বাড়ছে মন্তব্য করে চট্টগ্রাম মহানগর বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সভাপতি মোহাম্মদ সাজ্জাত হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশকে উনার পরিকল্পনা মত উন্নয়নের পথে যখন নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তার পাশে থাকা ভোগবাদী মোশতাক চক্র নিজেদের ভোগবিলাসের রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে সড়িয়ে দিয়েছিল। এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও যখন দেশকে এগিয়ে নেয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন তখনো উনার আশপাশে কিছু ভোগাবাদী মানুষের দেখা মিলছে। যারা নিজেদের ব্যক্তিগত চাওয়া পাওয়া কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে চলছে। তাদের বিষয়ে আমাদের সতর্ক হতে হবে। যাতে দেশে ৭৫ এর মত আরেকটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মঞ্চ প্রস্তুত করা না যায়।
২০০৬ সাল থেকে চট্টগ্রামে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবছর এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা। সংগঠনের সহ সভাপতি জাওঈদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ভারতের সহকারী হাই কমিশনার ড.রাজীব রঞ্জন।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরোয়ার কাবেরী, নেত্রকোনা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুন্নেছা আশরাফ দীনা, যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা নওশাদ মাহমুদ রানা, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছা সেবক লীগের উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইসলাম বাপ্পী,কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য ও বেসরকারী কারা পরিদর্শক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বখতেয়ার সাঈদ ইরান,সুরজিৎ দত্ত সৈকত, ইকরামুল্লাহ চৌধুরী রনি,আবু জিয়াদ সিদ্দিকী, সিবলি মাহমুদ, নোমান বিন খুরশিদ, নাবিল হাসান, নাঈম আবদুল্লাহ।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুভূতি ব্যক্ত করেন মুমতাহিনা তাবাসসুম মালিহা,শেখ মোহাম্মদ তোহা,মোহাম্মদ আবরার, ২০১৯ সালে জিপিএ ৫ পাওয়া মো: আবু আবিদ, ২০১৮ সালে জিপিএ ৫ পাওয়া আরেফীন রিয়াদ।