ডেস্ক নিউজ: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় মশিউরের আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এসময় ৫ জনকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় দেশী-বিদেশি ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ।
রোববার ( ৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে পতেঙ্গায় র্যাব-৭ এর ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ।
আটককৃতরা হলেন- রফিকুল ইসলাম মালু (৪১), মো. সিরাজুল ইসলাম (৩৪), মো. হাসান (৩৫), জামাল শেখ (৪৭) ও মিজানুর রহমান কদর (৪০)।
কর্নেল এমএ ইউসুফ বলেন, র্যাবের কাছে তথ্য ছিল জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় নিজদের আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি ও সরকারি জমিতে প্লট তৈরি করে লোকজনের কাছে বিক্রি করে টাকা আদায় করছে সন্ত্রাসীরা। দীর্ঘদিন যাবত এমন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সন্ত্রাসী মশিউরের ছেলে শিবুল নিজেই বিদ্যুতের মিটার থেকে দরিদ্র লোকজনের বাসায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। এর মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত বৈদ্যুতিক মূল্যের চেয়ে অধিক অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের অপকর্ম নিয়ন্ত্রণ করতে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলা হয়েছে। শনিবার রাতে সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা অপরাধ সংগঠনের জন্য একটি স্থানে জড়ো হয়েছে জেনে র্যাব-৭ অভিযান শুরু করে।
অভিযানের শুরুতে পাঁচজনকে আটক করে র্যাব। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আস্তানা থেকে অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করে র্যাব। এসময় সন্ত্রাসীদের সহযোগীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। অভিযানকারী র্যাবের দল ওই আস্তানা ঘিরে অবস্থান নেয়। পরে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করে অভিযান দ্বিতীয় দফা শুরু হয়। এই সময় সন্ত্রাসীরা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ও ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। জবাবে র্যাবও আত্মরক্ষার্থে ১২৯ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। হামলার সময় সন্ত্রাসীদের ইট-পাটকেলে কয়েকজন র্যাব সদস্য আহত হন। শেষে মশিউরের আস্তানা থেকে অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
র্যাব অধিনায়ক বলেন, সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে অস্ত্র-গুলিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। মামলার পর আটককৃতদের থানায় সোপর্দ করা হবে।