ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কাইজ্যা (সংঘর্ষ) ছেড়ে শপথ নিয়ে পুলিশের কাছে দেশীয় অস্ত্র জমা দিয়েছেন গ্রামবাসী। এ সময় ঢাল-সরকি, কাতরা, বল্লম, টেঁটাসহ প্রায় শতাধিক দেশীয় অস্ত্র জমা দেন তারা। এছাড়া লুকিয়ে রাখা বাকি অস্ত্রগুলো ২০ আগস্টের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান।
শনিবার (১৪ আগস্ট) একটি সমাবেশে এ দেশীয় অস্ত্র জমা দেন তারা। সোমবার (১৬ আগস্ট) ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. তরিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়,উপজেলার মানিকদাহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া এলাকায় দীর্ঘ দিনের বিরোধে বিভিন্ন সময় দুপক্ষ ঢাল-সরকিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের অনেকেই আহত, পঙ্গু হওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য মামলায় জড়িয়ে পড়েন।
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সৃষ্টি এই বিরোধ নিরসনকল্পে হামিরদী ও মানিকদাহ ইউনিয়নের সর্বসাধারণদের নিয়ে পুখুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শনিবার (১৪ আগস্ট) এক শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে পুখুরিয়া এলাকার কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিনের বিরোধ-সংঘর্ষ ছেড়ে পুলিশের কাছে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র জমা দিয়েছেন। তবে জমা দেওয়া দেশীয় অস্ত্রের পরিমাণে সন্তুষ্ট নন পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান। তাই ২০ আগস্টের মধ্যে লুকিয়ে রাখা সব অস্ত্র জমা দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। তিনি বলেন, “আগামী ২০ আগস্টের পর কারও হেফাজতে কোনো প্রকার দেশীয় অস্ত্র পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো প্রকার অজুহাত ও সুপারিশ চলবে না।”