এইচএসসি পরীক্ষার খাতা কিভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে?

Date:

Share post:

ছবির কপিরাইট ফোকাস বাংলা
Image caption বিরাট অংশের পরীক্ষার্থীদের অকৃতকার্য হওয়ার পর আলোচনায় উঠে এসেছে পরীক্ষার নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতি

বাংলাদেশে এবারের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) সার্বিক পরীক্ষার ফলে পাসের হার উল্লেখযোগ্য কমে যাওয়া, ইংরেজি বিষয়ে ফেল করার পরিমাণ ব্যাপক বেড়ে যাওয়া, এমনকি এমসিকিউ অংশেও বিরাট অংশের পরীক্ষার্থীদের অকৃতকার্য হওয়ার পর আলোচনায় উঠে এসেছে পরীক্ষার নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতি।

কিন্তু কিভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার খাতা? আগের বারের চেয়ে এর পার্থক্য কি? যারা এসব খাতা মূল্যায়ন করেছে তারাই বা কতটুকু দক্ষ? ইংরেজিতে বিপর্যয়ের কারণ কি?

এসব বিষয়ে বিবিসি বাংলা’র সাথে কথা বলেছেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল খালেক। এ বোর্ডের মোট পরীক্ষার্থীর অর্ধেকও এবারের পরীক্ষায় কৃতকার্য হতে পারেনি। এর মধ্যে প্রায় ৩৮শতাংশ শিক্ষার্থী শুধু ইংরেজি বিষয়ে ফেল করেছে।

এবার কিভাবে খাতা মূল্যায়ন করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা একটা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত যারা ঢাকায় বারবার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাদের বা তেমন শিক্ষক না পাওয়া গেলে জেলা র‍্যাংকিংয়ে যারা উপরে আছেন তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এদের মধ্য থেকে চার পাঁচজনকে নিয়োগ দেন একটি বিষয়ের উপর, যেমন ইংরেজির। এমন কয়েকজন বসে প্রশ্নপত্র নিয়ে একটা সলিউশন তৈরি করেন। এরপর এটার ভুল ভ্রান্তি সব যাচাই করে সঠিকটা প্রিন্ট করেন। এরপর বোর্ড কর্তৃপক্ষ থেকে ইংরেজির পরীক্ষকদের ডেকে আনা হয়।

আব্দুল খালেক বলেন, “ধরুন ৬০ বা ৩০ জন আসলো। তাদের প্রধান পরীক্ষক ব্রিফ করেন ও সলিউশন শীটটা দিয়ে দেন। মূল্যায়ন বিষয়ে নির্দেশনা দেন এবং সেটা বুঝে নিয়ে তারা খাতা নিয়ে চলে যান। পরে মূল্যায়ন শেষে নাম্বার প্রধান পরীক্ষকের কাছে পৌঁছে দেন। প্রধান পরীক্ষক সেটি প্রকাশের প্রক্রিয়া শুরু করেন”।

ছবির কপিরাইট ফোকাস বাংলা
Image caption রেজাল্ট ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের উল্লাস

গতবারের সাথে এবারের মূল্যায়ন পদ্ধতির পার্থক্য কতটুকু জানতে চাইলে তিনি বলেন বড় কোন পার্থক্য নেই,তবে কিছুটা পার্থক্য আছে।

“গত তিনি বছর পরীক্ষা মূল্যায়নে যে কাজ চলছিলো সেটি তৃতীয় বছরে এসে এখন একটি পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে, মূল্যায়ন যাতে গুনগত মানের হয়”।

কিন্তু যারা মূল্যায়ন করছেন তারা কতটুকু দক্ষতার সাথে সেটি করতে পারছেন – এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের প্রধান পরীক্ষক করা হয় সংশ্লিষ্ট বিষয়ের।

“চাকুরীর বয়স, পদ ও একাডেমিক যোগ্যতাকে বিবেচনায় নিয়ে সিনিয়রটির ভিত্তিতে শিক্ষকদের একটি র‍্যাংকিং করা হয়। এরপর তাদের মধ্য থেকে পরীক্ষক নিয়োগ করা হয়। এদের মধ্য থেকেই দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রধান পরীক্ষক নিয়োগ করা হয়। তার নির্দেশনা মতো প্রশিক্ষণ দিয়ে উত্তরপত্র পরীক্ষকদের মূল্যায়নের জন্য দেয়া হয়।

এবার পাসের হার কমে যাওয়া বিশেষ করে কুমিল্লা বোর্ডে ইংরেজিতে এতো ব্যাপক অকৃতকার্য হওয়ার কারণ কি জানতে চাইলে অধ্যাপক আব্দুল খালেক বলেন প্রশ্ন কঠিন হয়নি আর নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষকরা যথাযথভাবে খাতা দেখেছে এতে রেজাল্ট আসার এসেছে।

“আসলে নকল মুক্ত পরিবেশে এবার পরীক্ষা হয়েছে আবার ইংরেজি শিক্ষকের স্বল্পতাও আছে। এইচএসসিতে অনেক ভর্তি হয় কিন্তু সে অনুপাতে শিক্ষকও নেই”।

Source from: http://www.bbc.com/bengali/news-40704227

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Related articles

আবারো এস আলমে আগুন 

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকায় এস আলম গ্রুপের চিনির গুদামের পর এবার তেলের মিলে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের...

জিম্মি নাবিকদের উদ্ধার চেষ্টার সময় গুলি বিনিময়

সময় ডেস্ক সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে অন্য একটি জাহাজ। দুই...

শেষ ম্যাচে ভুটানকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ

সময় স্পোর্টস ডেস্ক সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিলো বাংলাদেশের মেয়েরা। ১০ মার্চ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে মাঠে...

নারী দিবসে নারী কর্মীদের সম্মান জানিয়ে এবারই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করছেন নারী কর্মীরা

সময় ডেস্ক আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছেন নারীরা। রাজধানীর শাহজালাল...