বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিক সালমনের ঘটনায় ‘নিজেদের দায়িত্ব যথাযথ পালন না করতে পারায়’ বরিশাল ও বরগুনার জেলা প্রশাসকদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
তাদেরকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ফেরত আনা হয়েছে এবং জেলা প্রশাসক হিসেবে নতুন দুজনের নামও ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে বরগুনার ইউএনওকে গ্রেফতারের ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়ায় কোন ব্যত্যয় হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ।
ওই কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র এবং আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা থাকবেন এবং এ কমিটিকে আগামী পনের দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন তারিক সালমনের কোন দোষ না পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তখনকার বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার যে চিঠি দিয়েছিলেন সেটি খারিজ করে দেয়া হয়েছে।
বরিশালের আগৈলঝড়া উপজেলার ইউএনও থাকার সময় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্রে তিনি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছাপান যেটি পঞ্চম শ্রেণির এক শিশুর আঁকা ছিলো।
পরে সে ছবিকে ‘বিকৃত’ অভিযোগ করে বরগুনার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয় বরিশালে।
ওই মামলায় হাজির হওয়ার পর তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে এমন ছবি প্রকাশের পর দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং ক্ষোভ সৃষ্টি হয় জনপ্রশাসনে।
মামলার বাদী বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহকে গত শুক্রবার দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ।
রোববার আদালতে গিয়ে মামলা প্রত্যাহার করে নেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
এর মধ্যে এ মামলা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বিবিসিকে বলেছেন ইউএনওর বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীও বিস্মিত হয়েছেন।
এরপর আজ ওই ঘটনার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের তথ্য জানালেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
পাশাপাশি সরিয়ে নেয়া হলো দু জেলার ডিসিদেরও।
আরও পড়ুন ইউএনও গ্রেফতারের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী বিস্মিত, প্রশাসনে তোলপাড়
ইউএনও তারিক সালমনকে হেনস্থার নেপথ্যে কী?
Source from: http://www.bbc.com/bengali/news-40704226